• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:৩৬

অযথা দুশ্চিন্তকদের জন্য লেখা...

পথরেখা অনলাইন : অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের মানসিকভাবে পঙ্গু বানিয়ে ফেলে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব আর সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগায়। একসময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হতাশাসহ নানান মানসিক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সাত উপায়ে আপনি দূরে থাকতে পারেন দুশ্চিন্তা থেকে।

আপনি কি অযথাই দুশ্চিন্তা করেন?
১. সিদ্ধান্ত নিন। ছোট ছোট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৩০ সেকেন্ড করে সময় নিন। মাঝারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৩০ মিনিট সময় নিন। আর বড় কোনো সিদ্ধান্ত সব দিক বিবেচনা করে ভেবে নিন। অন্তত ৩০ ঘণ্টা সময় নিন সে জন্য। এভাবে সিদ্ধান্ত নিলে আপনাকে অযথা দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না।

২. দ্বিধা আর দুশ্চিন্তা দূরে রেখে কোনো কাজ করতে চাইলে ১০, ৯, ৮, ৭...এভাবে উল্টো করে মনে মনে শূন্য পর্যন্ত গুনে তারপর কাজটি করুন। এভাবে মস্তিষ্কের ভেতরের চলমান দুশ্চিন্তাকে উপেক্ষা করে কাজে মনোনিবেশ করা যায়।

৩. সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, মনোনিবেশ করুন। সিনেমা দেখুন, গল্প করুন, ছবি আঁকুন, রান্না করুন। এমনভাবে নিজের দিনের রুটিন সাজান, যেখানে দুশ্চিন্তা করার বিশেষ সময় নেই। দুশ্চিন্তাকে দূরে ঠেলে রাখুন। নিজেকে বলুন, যেটার ওপর আপনার কোনো হাত নেই, যেটা ঘটবেই, অথবা ঘটবে না, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা কেন?

৪. আমরা এমন একটা বিশ্বে বাস করি, যেখানে যেকোনো বিষয়েই প্রায় ৭০ শতাংশ তথ্য খুঁজলেই পাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে আপনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নিতে পারেন।

৫. গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যা কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা করি তার শতকরা ৯০ ভাগ বিষয় বাস্তবে ঘটেই না। পরিসংখ্যানটি মনে রাখুন।

৬. বিষয়টি আপনার কাছে হাস্যকর মনে হতেই পারে। তবে আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রেই দুশ্চিন্তার ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে। গুগলে একটা ডক ফাইল খুলুন। সেখানে নিজের ৮৫ বছর বয়সী সত্তার সঙ্গে কথোপকথন জুড়ে দিতে পারেন।

৭. বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। হালকা হোন। অথবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে ‘রিল্যাক্সিন’জাতীয় ওষুধ খান। মিউজিক থেরাপিও নিতে পারেন। এ ছাড়া খানিক হেঁটে এলে, ব্যায়াম করলে বা যেকোনো শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করলে ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসরণ হওয়ায় সাময়িকভাবে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সূত্র : প্রথম আলো
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।