• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:২৫

ফ্রান্সে হলিডে হোমে আগুন নিহত ১১

পথরেখা অনলানইন : ফ্রান্সে হলিডে হোমে আগুন লেগে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় ওই ভবন থেকে আরও ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে একটি হলিডে হোমে অগ্নিকাণ্ডের পর ১১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। বুধবার স্থানীয় সময় সকালে আগুন লাগার ঘটনা সম্পর্কে জরুরি পরিষেবাগুলোকে জানানো হয় এবং পরে প্রায় ৮০ জন অগ্নিনির্বাপককে সেখানে পাঠানো হয়।
 
বিবিসি বলছে, আগুন এখন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, তবে ঠিক কিভাবে সেখানে আগুন লাগে তা এখনও পরিষ্কার নয়। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের শিকার ওই ভবন থেকে সতেরো জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের মধ্যে অন্তত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন এবং ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি পরিষেবাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রাথমিকভাবে নয় জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল জরুরি পরিষেবা। এছাড়া বাকি দুই নিখোঁজ ব্যক্তির লাশের সন্ধান চলছে বলেও জানানো হয়। তবে বিকেল নাগাদ কলমারের ডেপুটি প্রসিকিউটর নাথালি কিলওয়াসার নিশ্চিত করেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
 
তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ভবনের তৃতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার পর তৃতীয় তলায় থাকা লোকেদের কাছে পালানো কঠিন হয়ে পড়ে এবং সেখানেই তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে এই মুহূর্তে আমরা কারও কাছ থেকে জানতে পারছি না, ঠিক কী কারণে এসব মানুষ আগুনে আটকা পড়েছিল।’ বিবিসি বলছে, জার্মান সীমান্তের কাছে এবং স্ট্রাসবার্গ শহরের প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত উইন্টজেনহেইমের কাছে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
 
হাউট-রিন অঞ্চলের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের শিকার এই ভবনটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তায় কাজ করা দু’টি পৃথক দাতব্য সংস্থার দুই দল লোক ব্যবহার করত। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি এটিকে ভয়াবহ বিপর্যয় বলেও অভিহিত করেন।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।