• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১৪ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১৮

ভারতে নাবালিকা ধর্ষণে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

  • আন্তর্জাতিক       
  • ১২ আগস্ট, ২০২৩       
  • ১১৬
  •       
  • ১২-০৮-২০২৩, ০৯:১০:৪৮

পথরেখা অনলানইন : ভারতের ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিল পেশ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রস্তাবিত এ আইনে ভারতের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতাকে বিপন্ন করলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া গণপিটুনি ও নাবালিকা ধর্ষণে জড়িত অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) দেশটির লোকসভায় (সংসদের নিম্নকক্ষ) এ শাস্তিগুলোর বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেন অমিত শাহ। এবার থেকে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ যেমন দেওয়া যাবে সেইসঙ্গে, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। অন্যদিকে, গণধর্ষণে কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
 
কেন্দ্রের নতুন এ বিলে বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর যদি নির্যাতিতার মৃত্যু হয় তবে দোষী ব্যক্তিকে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। যার মেয়াদ ২০ বছরের কম হবে না। তবে তা আরও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। নাবালিকাকে (১২ বছরের কম বয়সী) ধর্ষণ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্তকে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। যা কোনোভাবেই ২০ বছরের কম হবে না। লোকসভায় পেশ করা বিলগুলোর মধ্যে ছিল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) বিল ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) বিল ২০২৩, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য (বিএস) বিল ২০২৩ যা যথাক্রমে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-কে প্রতিস্থাপন করবে।
 
এদিন অমিত শাহ বিল পেশের সময় সংসদে জানান, বিএনএস বিলে রাষ্ট্রদ্রোহ বাতিল করার বিধান রয়েছে। গণপিটুনি এবং নাবালিকাদের ধর্ষণের মতো অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের বিধান বাতিল করার প্রস্তাব করলেও তা ভিন্নভাবে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি। প্রস্তাবিত আইন অনুসারে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে, জেনেশুনে, শব্দ দ্বারা, কথায়, লিখিত বা চিহ্ন দ্বারা, ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে, আর্থিক উপায়ে এবং সশস্ত্রভাবে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে বিদ্রোহ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের মতো ঘটনাকে উৎসাহিত করলে তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করার সামিল। এ ধরনের কোনো কাজে লিপ্ত বা সংঘটিত হলে ওইসব ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত বর্তমান আইন অনুযায়ী, কেউ এ অপরাধে জড়িত থাকলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।