• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১৪ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৪

সিঙ্গাপুরে বিপুল অর্থ-সম্পদসহ ১০ বিদেশি গ্রেপ্তার

  • আন্তর্জাতিক       
  • ১৭ আগস্ট, ২০২৩       
  • ১১৫
  •       
  • ১৭-০৮-২০২৩, ১০:১১:০৩

পথরেখা অনলানইন : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। অভিযানে ১০ বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১০০ কোটি সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারের সম্পদও জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং এবং জালিয়াতি অপরাধের অভিযোগে ১০০ কোটি সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার বা ৭৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ জব্দ করার পাশাপাশি নারীসহ ১০ বিদেশিকে গ্রেপ্তার করে সিঙ্গাপুরের পুলিশ। জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে নগদ অর্থ, সম্পত্তি, বিলাসবহুল গাড়ি এবং অন্যান্য সম্পদও রয়েছে। বুধবার দেওয়া সিঙ্গাপুর পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ গত মঙ্গলবার দেশটিজুড়ে একযোগে অভিযান চালায়।
 
সিঙ্গাপুর পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত এই সব বিদেশিদের বয়স ৩১ বছর থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে চীনা, তুর্কি, সাইপ্রাস, কম্বোডিয়ান এবং নি-ভানুয়াতুর নাগরিক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিদেশিদের এই দলটি ভালো মানের বাংলো (জিসিবি) ও উন্নত কনডোমিনিয়ামে থাকতেন। তাদের সবারই বিলাসবহুল গাড়িও আছে। রয়টার্স বলছে, ৯৪টি সম্পত্তি এবং ৫০টি গাড়ির মালিকানাও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যার মোট আনুমানিক মূল্য ৮১৫ মিলিয়ন সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারেরও বেশি। তদন্তের জন্য এবং অর্থপাচার রোধে পুলিশ ৩৫টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এছাড়া ২৩ মিলিয়নের বেশি নগদ অর্থ, ২৫০টিরও বেশি বিলাসবহুল ব্যাগ এবং ঘড়ি, কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের মতো ১২০টিরও বেশি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ২৭০টিরও বেশি গয়না, দু’টি সোনার বার এবং ভার্চুয়াল সম্পদের তথ্যসহ ১১টি নথি জব্দ করা হয়েছে।
 
সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমস বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন সাইপ্রাসের নাগরিক রয়েছেন। ৪০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি সিঙ্গাপুরের বুকিত তিমাহের ইওয়ার্ট পার্কের জিসিবিতে বসবাস করতেন। পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে তিনি দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে লাফ দেন এবং আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত এই ব্যক্তির কাছে চীন এবং কম্বোডিয়া থেকে ইস্যু করা বিদেশি পাসপোর্ট ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- ৪২ বছর বয়সী এক তুর্কি নাগরিক, ৪৪ ও ৪৩ বছর বয়সী দুই চীনা নাগরিক, ৪১ বছর বয়সী কম্বোডিয়ার এক নাগরিক, ৩৫ বছর বয়সী নি-ভানুয়াতুর নাগরিক, ৩৩ বছর বয়সী কম্বোডিয়ার আরেক নাগরিক, ৩৪ বছর বয়সী সাইপ্রাসের আরেক নাগরিক, ৩১ বছর বয়সী আরেক চীনা নাগরিক এবং ৩১ বছর বয়সী কম্বোডিয়ার আরও এক নাগরিক।
 
সিঙ্গাপুরের কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের (সিএডি) ডিরেক্টর ডেভিড চিউ বলেছেন, সিঙ্গাপুরকে এই ধরনের অপরাধের কেন্দ্র হওয়া থেকে রক্ষা করতে পুলিশ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে কাজ করবে। অপরাধীরা সিঙ্গাপুরকে তাদের আশ্রয়স্থল বানাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ‘যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এফআই) দুর্নীতি ও জালিয়াতির তববিল চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তারা। একইসঙ্গে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তদারকির কাজও চলছে।’ তবে ওই বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেনি সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।