পথরেখা অনলাইন : দীর্ঘ ১৫ বছর পর থাইল্যান্ডে ফিরেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ২২ আগস্ট সকালে সিঙ্গাপুর থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে তিনি দেশে ফেরেন। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার একটু আগে থাকসিনকে বহনকারী বিমান ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফিরতেই গ্রেফতার হয়েছেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। গ্রেফতারের পরপরই তাকে আদালত থেকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের খাওসোদ মিডিয়া ও থাই পিবিএসের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, সিঙ্গাপুর থেকে ব্যাংককের ডন মুয়েং বিমানবন্দরে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার কিছুক্ষণ পরে থাকসিন অবতরণ করেন। অবতরণের পর দেশটির রাজাকে শ্রদ্ধা জানান থাকসিন, আর তার কিছুক্ষণ পরেই ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত থাকসিনকে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, গ্রেফতারের এই ঘটনা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সাবেক প্রাক্তন টেলিকমিউনিকেশন টাইকুন থাকসিন দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। তবে ২০০৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ৭৪ বছর বয়সী এই বিলিয়নেয়ারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।
এর আগে তার বোন, থাইল্যান্ডের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, তাতে ঘন নীল স্যুট ও লাল টাই পরা থাকসিনকে ছোট একটি বিমানের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা ইংলাকের আরেকটি পোস্টে দেওয়া ছবিতে থাকসিনকে সিঙ্গাপুরে তার ব্যক্তিগত বিমানের ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায়। এই পোস্টে ইংলাক বলেন, ‘যে দিনটির জন্য আমার ভাই অপেক্ষা করছিল তা এসেছে।’
ডন মুয়াং বিমানবন্দরে নামার পর কিছুক্ষণের জন্য তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা যায়। এ সময় তিনি পুয়ে থাইয়ের নির্বাচিত আইনপ্রণেতা ও উপস্থিত শত শত উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর আবার বিমানবন্দরের টার্মিনালের ভেতরে চলে যান। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পথরেখা/আসো