পথরেখা অনলাইন : চীন, জাপান, ইরান, মিশর ও তুরস্কসহ যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে চাইলে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ২১ আগস্ট দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, প্রথম দিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। তবে এ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে আমদানি না করলে দেশে পেঁয়াজ কমে যাচ্ছে এবং দাম আস্তে আস্তে বাড়ছিল। তাই সরকার আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপিও দেওয়া হলেও এসেছে মাত্র তিন লাখ টন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কোনো বছর কমে যায়। গত বছর দাম কম ছিল। ফলে চাষিরা এ বছর আবাদ করতে পারেননি। এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল তাই বেশি দিন ঘরে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি পেঁয়াজ ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সেজন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য দেশের আবহাওয়া খুবই উপযোগী। তবে আমাদের আগে যেসব পেঁয়াজ ছিল সেগুলোর উৎপাদনশীলতা কম। ইতোমধ্যে আমাদের কৃষি গবেষকরা উন্নত জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছেন। সেগুলোর ফলন অনেক বেশি। প্রতি হেক্টরে ২০ টন পেঁয়াজ হয়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত রপ্তানিকে নিরুৎসাহিত করার জন্য ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতে পেঁয়াজের দাম বাড়বে। যে বছর উৎপাদন কম হয়, দাম বেড়ে যায়। আর যখন ভারতে বেশি দাম বাড়ে এর ওপর রেস্ট্রিকশন দেয়। সেটা এবছর দেয়নি। এবার তারা ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো শুরু করেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এখন এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অন্য দেশ থেকে মিশর, তুরস্ক, চীনসহ অন্য দেশ থেকে আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। বাজার মনিটরিং করতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শক্তভাবে। এক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে আমরা চেষ্টা করবো বাজারটা নিয়ন্ত্রণ করার। যাতে নিম্ন, মধ্য আয়ের মানুষ সহনীয় একটা দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে। একটু দাম বেশি দিতে হবে হয়তো কিন্তু পেঁয়াজ যাতে তারা খেতে পারে সে দিকে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। তবে এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, তারা সেটা করবে। তা সত্ত্বেও আমরা সব সময় বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কীভাবে মোকাবিলা করা যায়। আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি অন্য দেশ থেকে যাতে পেঁয়াজ আনতে পারি।
পথরেখা/আসো