• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৮

যে কোনো দেশ থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে : কৃষিমন্ত্রী

পথরেখা অনলাইন : চীন, জাপান, ইরান, মিশর ও তুরস্কসহ যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে চাইলে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ২১ আগস্ট দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
 
কৃষি মন্ত্রী বলেন, প্রথম দিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। তবে এ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে আমদানি না করলে দেশে পেঁয়াজ কমে যাচ্ছে এবং দাম আস্তে আস্তে বাড়ছিল। তাই সরকার আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপিও দেওয়া হলেও এসেছে মাত্র তিন লাখ টন। 
 
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কোনো বছর কমে যায়। গত বছর দাম কম ছিল। ফলে চাষিরা এ বছর আবাদ করতে পারেননি। এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল তাই বেশি দিন ঘরে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি পেঁয়াজ ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সেজন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। 
 
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য দেশের আবহাওয়া খুবই উপযোগী। তবে আমাদের আগে যেসব পেঁয়াজ ছিল সেগুলোর উৎপাদনশীলতা কম। ইতোমধ্যে আমাদের কৃষি গবেষকরা উন্নত জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছেন। সেগুলোর ফলন অনেক বেশি। প্রতি হেক্টরে ২০ টন পেঁয়াজ হয়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত রপ্তানিকে নিরুৎসাহিত করার জন্য ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতে পেঁয়াজের দাম বাড়বে। যে বছর উৎপাদন কম হয়, দাম বেড়ে যায়। আর যখন ভারতে বেশি দাম বাড়ে এর ওপর রেস্ট্রিকশন দেয়। সেটা এবছর দেয়নি। এবার তারা ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো শুরু করেছে।
 
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এখন এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অন্য দেশ থেকে মিশর, তুরস্ক, চীনসহ অন্য দেশ থেকে আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। বাজার মনিটরিং করতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শক্তভাবে। এক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে আমরা চেষ্টা করবো বাজারটা নিয়ন্ত্রণ করার। যাতে নিম্ন, মধ্য আয়ের মানুষ সহনীয় একটা দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে। একটু দাম বেশি দিতে হবে হয়তো কিন্তু পেঁয়াজ যাতে তারা খেতে পারে সে দিকে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। তবে এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, তারা সেটা করবে। তা সত্ত্বেও আমরা সব সময় বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কীভাবে মোকাবিলা করা যায়। আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি অন্য দেশ থেকে যাতে পেঁয়াজ আনতে পারি।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।