পথরেখা অনলাইন : ভারত ছাড়াও আরো ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। চীন থেকে ২৪০০ টন, মিশর ৩৯১০টন, পাকিস্তান থেকে ১১৮২০ টন, কাতার ১১০০ টন, তুরস্ক ২১১০ টন, মিয়ানমার ২০০টন, থাইল্যান্ড ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস ৪ টন ও ইউএই থেকে ৩ টনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ২৪ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির বিপরীতে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।
অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৯ আগস্ট হঠাৎ করে দেশে পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এর আগে শুল্কমুক্তভাবেই দেশটি থেকে পেঁয়াজ আসতো বাংলাদেশে। ভারত রফতানিতে পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর বাংলাদেশের বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারে ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা। অথচ গত সপ্তাহে অর্থাৎ ভারত সরকারের শুল্ক আরোপের আগে এই এই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সুযোগে দেশি পেঁয়াজেরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারে বর্তমানে ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা। এছাড়া পাবনার হাইব্রিড পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা। অথচ গত সপ্তাহে এই বাজারে ফরিদপুরের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়, পাবনা (হাইব্রিড) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা এবং পাবনার (অরজিনাল) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা।
পথরেখা/আসো