• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১৪ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১৯

৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়ার বালি-লম্বক

  • আন্তর্জাতিক       
  • ২৯ আগস্ট, ২০২৩       
  • ১৩৪
  •       
  • ২৯-০৮-২০২৩, ০৮:৪৭:৪৭

পথরেখা অনলাইন : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ভোরে ইন্দোনেশিয়ার বালি সাগরসহ উপকূলীয় বালি ও লম্বক অঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিনিয়ান সিমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইএমএসসি) বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার বালি এবং লম্বক দ্বীপপুঞ্জের উত্তরে সমুদ্রের গভীরে ৭.০ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর সেখানকার বাসিন্দারা আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
 
ইএমএসসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার মাতারাম থেকে ২০৩ কিলোমিটার (১২৬ মাইল) উত্তরে এবং ভূপৃষ্ঠের ৫১৬ কিলোমিটার নীচে খুব গভীরে। ইন্দোনেশিয়া এবং মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থাগুলো অবশ্য মঙ্গলবার ভোরে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.১ ছিল বলে জানিয়েছে। এই ঘটনায় কোনোও ধরনের সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি। ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা অনুসারে, বালি এবং লম্বকের উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টার আগে অনুভূত হয়। এরপরে ৬.১ এবং ৬.৫ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে। বালির মারকিউর কুটা বালি নামক এটি হোটেলের ম্যানেজার সুয়াদি ফোনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন অনুভব করার পরে হোটেলের অতিথিরা তাদের ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের অনেকে আবার ফিরে আসেন এবং এতে বিল্ডিংয়ের কোনও ক্ষতি হয়নি।
 
তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর বেশ কিছু অতিথি তাদের কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন এবং তারা এখনও হোটেল এলাকায় অবস্থান করছেন। এদিকে ভূমিকম্পের জেরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি বলে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থা বিএনপিবি জানিয়েছে। বিএনপিবি’র মুখপাত্র আব্দুল মুহারী বলেন, ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের অনেক গভীরে আঘাত হেনেছে, তাই এটি হয়তো ধ্বংসাত্মক হয়নি। উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে। এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে ৫৬ জনের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়। পরে এই ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১০ জনে। আহত হয়েছিলেন আরও বহু মানুষ।
 
এছাড়া ২০০৯ সালে পাদাংয়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ভূমিকম্পে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যায়। তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই এ কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে আছে।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।