• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৮
বাংলাদেশের চেয়ে ভারত-পাকিস্তান এগিয়ে

বিশ্বে হিংসাপ্রবণ দেশের তালিকার প্রকাশ

  • আন্তর্জাতিক       
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩       
  • ১০৫
  •       
  • ২৭-০৯-২০২৩, ১৫:৩৫:২৫

বিশেষ প্রতিবেদন : দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের গবেষণায় বিশ্বে হিংসাপ্রবণ দেশের তালিকার প্রথম ৫০-এ বাংলাদেশ। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মায়ানমারের নাম।
 
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাঁরা দাবি করছেন, তাঁদের আমলেই সেখানে শান্তিতে বাস করছেন দেশের বাসিন্দারা। এই সময়েই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের গবেষণায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের হিসাবে, হিংসার ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম ৫০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। ওই তালিকায় ২২ নম্বরে নাম রয়েছে বাংলাদেশের।
 
এসিএলইডি জানিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশ্বের ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের সংঘাতের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে সহিংসতাপ্রবণ ৫০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে তাঁরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংস্থার হিসাবে, ওই তালিকায় শীর্ষে আছে মায়ানমার। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হিংসাপ্রবণ দেশ হিসাবে নাম আছে মিয়ানমারের। ওই তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া, মেক্সিকো, ইউক্রেন ও নাইজেরিয়া। সেই তালিকার একেবারে শেষে নাম রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর। পশ্চিমের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র মার্কিন মুলুকের নামই এসেছে এই তালিকায়।
 
হিংসাপ্রবণ দেশ হিসাবে তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক আগেই রয়েছে সোমালিয়া। আর বাংলাদেশের পরে ২৩ নম্বরে রয়েছে কেনিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ওই তালিকায় ভারতের নাম রয়েছে ১৬ নম্বরে । এবং ১৯ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। এসিএলইডি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে, বিশ্বজুড়ে ওই সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই হিংসার জেরে প্রাণহানি হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের। গত এক বছরে এই হিংসা বেড়েছে ২৭ শতাংশ।
 
এই নিয়েও তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরে কমপক্ষে একটি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এমন দেশ ও অঞ্চলের সংখ্যা ১৬৭। বিশ্বে যে পরিমাণ হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার ৯৭ শতাংশ ঘটনাই ঘটছে তালিকায় থাকা ৫০টি দেশে। তাঁরা জানিয়েছে, হিংসায় মৃত্যু, জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি, কী পরিমাণ এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছে এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংখ্যার বিচার করে এই তালিকা করা হয়েছে।
 
তার ভিত্তিতে ‘চরম’, ‘উচ্চ’ ও ‘উত্তাল’ এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে দেশগুলিকে। ওই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান উচ্চ হিংসাপ্রবণ ভাগে। তাঁদের হিসাবে, বাংলাদেশের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। ভারতের অবস্থার উন্নতি হলেও পাকিস্তানের পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।