• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:১৯

মহাদেবপুরে কদবেল ও কমলায় অভাবনীয় সাফল্য

পথরেখা অনলাইন : নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরে বাণিজ্যিকভাবে কদবেল বাগান  করে সাফল্য পেয়েছেন খোরশেদ আলম নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি একইসাথে ওই বাগানে কমলা চাষ করেও পেয়েছেন অভাবনীয় সাফল্য। কৃষিক্ষেত্রে তার এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ এলাকার অন্যান্য কৃষি উদ্যোক্তাদের আন্দোলিত করেছে। জেলায় আম বাগান, লিচু বাগান, কাঁঠাল বাগান, কলা বাগান, কমলা বগান, ড্রাগনফলের বাগান  বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলেও কদবেল চাষ বিরল এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। খোরশেদ আলম মহাদেবপুর উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর মৌজায় ৪ বিঘা জমিতে সাড়ে ৩ বছর আগে গড়ে তুলেছেন কদবেল বাগান। জমিতে ৪৫০টি কদবেল গাছ রোপণ করেন।
 
এ বছর দ্বিতীয়বার ফল ধরেছে গাছে-গাছে। বাগানের গাছে কদবেল ধরেছে। আকারেও বড়-বড়। উদ্যোক্তা খোরশেদ জানিয়েছেন- এ বছর প্রতিটি গাছে গড়ে ৯০টি করে কদবেল ধরেছে। সেই হিসেবে ৪৫০ গাছে এ বছর বাগানে মোট কদবেল রয়েছে ৪০ হাজার ৫০০টি।  আর কিছুদিনের মধ্যে এসব বেল বাজারজাত করা সম্ভব হবে। বর্তমান প্রতিটি বেল পাইকারীভাবে গড়ে ২০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে পাইকারীভঅবেই এই বেল বিক্রি হবে প্রায় ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। কদবেল-এর পাশাপাশি একই দাগে অন্য ৩ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন কমলা বাগান। কমলা বাগানে গাছের সংখ্যা ৩২০টি।
 
এ বছর প্রতিটি গাছে গড়ে এক মণ করে কমলা উৎপাদিত হয়েছে। সেই হিসেবে কমলা উৎপাদতি হবে ৩২০ মন। সবুজ রঙের কমলাগুলো মিষ্টি এবং সুস্বাদু। বর্তমান বাজার অনুসারে প্রতিকেজি কমলা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এই মুল্যে বাগানের কমলা বিক্রি হবে প্রায় ১৫ লাখ টাকারও বেশী। অথচ এই বাগান গড়ে তুলতে মোট খরচ হয়েছে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। বাগানের বয়স যত বাড়বে, গাছ তত বড় হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ক্রমাগত।কদবেল আর কমলার এই বাগান দেখতে প্রতিদিন এলাকাবাসী ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে শত-শত উৎসাহী মানুষ বাগানে আসেন দেখে মুগ্ধ হন। তারাও ইচ্ছা প্রকাশ করছেন এমন বাগান সৃজন করতে।
 
মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন- কদবেল বাগান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তেমন কোন ঝক্কি ঝামেলা নাই। কীটনাশক বা সার ব্যবহারও করতে হয়না। কেবল সামান্য পরিচর্যার কৌশল জানতে হয়। এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করবে। 
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।