পথরেখা অনলাইন : আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের হেরাত প্রদেশে আঘাত হানা শক্তিশালী ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩২০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ। শনিবার (৭ অক্টোবর) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের কারণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ১২টি গ্রাম। ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাতে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে পাজওক আফগান নিউজ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে হেরাতের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর পাঁচটি বড় ধরনের আফটারশক হয়েছে; যার কেন্দ্রস্থল ছিল ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহরের কাছে।
কর্মকর্তাদের মতে, জিন্দা জান ও ঘোরিয়ান জেলার ১২টি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনান সাইক বলেছিলেন, হেরাতের ‘জিন্দা জান’ জেলার তিনটি গ্রামের অন্তত ১৫ জন লোক ভূমিকম্পে মারা গেছে এবং প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র এক ভিডিওতে বলেন, ফারাহ এবং বাদঘিস প্রদেশের কিছু বাড়িও আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)-এর তথ্য অনুসারে, পশ্চিম আফগানিস্তানে ছয়টি ভূমিকম্প হয়েছে এবং যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ছিল ৬.৩ মাত্রার। সংস্থাটি বলছে, শনিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩, ৫ দশমিক ৯ ও ৪ দশমিক ৬ মাত্রার পাঁচটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফারাহ ও বাদঘিস প্রদেশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। হেরাতের পূর্বাঞ্চলে ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ইরানের সাথে। এই শহরটিকে আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে মনে করা হয়। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, হেরাত প্রদেশের রাজধানী হেরাত শহরে ১৯ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে।
পথরেখা/অআ