• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:৫০

ডিজাইনার গাউনে অপু-বুবলি

পথরেখা অনলাইন : নারীর রুচির বহিঃপ্রকাশ তার পোশাকে। চলমান ফ্যাশনের বাজারে এখন চলছে কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত ছড়ানো একটি পোশাক। গাউন! সাধারণত এ পোশাক খ্রিস্টান নারীদের বিয়ের পোশাক। তবে বর্তমানে তা আর সেখানে নেই। যেকোনো অনুষ্ঠানে কিংবা বিশেষ কোনো আয়োজনে এখন হরহামেশাই গাউনের চল। পোশাকটির মধ্যে থাকা রুচির পরিচয় তো রয়েছে একই সঙ্গে রয়েছে আরামদায়কতা। শরতে আচমকা বৃষ্টি বা ভয়াবহ গরমেও গাউনের আরামদায়কতা এড়ানো যায় না। গাউনের কিছু ভাগ রয়েছে ফ্রক স্টাইল, ওয়েস্টার্ন ও সালোয়ার কামিজের স্টাইল। এখন নারীরা রঙের ওপর নির্ভর করে গাউন বানিয়ে থাকেন। লং গাউন এমনিতেই বহুদিন ধরে জনপ্রিয়। তরুণীরা আরো অনেক ক্ষেত্রেই লং গাউন বেছে নিচ্ছেন। কারণ, স্বাচ্ছন্দ্য আর স্টাইল দুটোই পাওয়া যায় লং গাউনে।
 
গড়ন উপযোগী গাউন বাংলাদেশের মেয়েদের গড়ন একটু ভারী হওয়ায় কাটিংয়ে পরিবর্তন এনে গাউনের হচ্ছে নতুন একধরন। নিকট অতীতে গাউনের ঘের শুরু হতো কোমর থেকে। ভারী গড়নের অনেকেই আগে এই জাতীয় পোশাক এড়িয়ে চলেছেন। তবে সময় পাল্টেছে। গাউনের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে গেছে নারীদের। অধিকাংশ ফ্যাশন হাউজ এখন বিশেষ আয়োজনে গাউন তৈরি করছে। এক্ষেত্রে আনজারার নাম উল্লেখ করতেই হয়। তারা হাজির করেছেন অপু বিশ্বাস ও বুবলিকে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে অপু বিশ্বাস-বুবলি জনপ্রিয় দুই নাম। সম্প্রতি এই দুজনের চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। টানাপোড়েন পেছনে ফেলে দুজন আবার এগিয়ে যাচ্ছে আপন গতিতে। পেশাদার জীবনের এই ছোঁয়া তাদের করেছে উজ্জ্বল। যেমনটি করেছে গাউন।
 
সচরাচর শাড়ি বা এথনিক পোশাকে শবনম বা বুবলি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। এবার আনজারা লাইফস্টাইল আনল বদল। তাদের লাক্সারি লেবেল আনজারার গাউনে হাল আমলের এই দুই অভিনেত্রীর ফটোশ্যুট সবার নজর কেড়েছে। দুজনকেই আলাদা আলাদা ফটোতে দেখা গেছে। আনজারা ফ্যাশনের ফটোশ্যুটে এই দুই নায়িকা চমকে দিয়েছেন। গাউনে মুক্তির আকারের বা ফো পার্লের লহর বসানো কারুকাজ? গাউনের ওপরের অংশে শিয়ার ফেব্রিক, উঁচু নেকলাইন। কারসাজি সব বুকের জায়গায় আর কাঁধে। এক কাঁধে স্ট্রাকচারড ফেব্রিক এক্সটেনশন আর আরেক দিকে কাঁচুলি ঘরানার অংশে সেই মুক্তার লহর।এক্সটেনশন থেকে কোমরে জড়ো হয়েছে। সেটিরও আলাদা নান্দনিকতা রয়েছে। অপুর হাতে মুক্তার মালা পেঁচিয়ে রাখা। কানে ময়ূরকণ্ঠী নীল আর সাদা পাথরের ঝোলানো দুলটিও গাউনের সঙ্গে মানানসই। চুল সিঁথি ছাড়া, টেনে পেছনে বাঁধা। উইং দেওয়া আইলাইনার আর বোল্ড ম্যানিকিওর চোখে পড়ছে। বেশ রাজসিক ভাব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সাজে।
 
অপরদিকে বুবলি সেজেছেন আরো ভিন্ন-সাজে। এটিও আনজারার। কফিরঙা সাটিন গাউনটিতে স্ট্রাকচারড প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। এক কাঁধের নিখুঁত বর্ণনামূলক কাজে। আর অন্য দিকের হাতায় একই সাটিন ফেব্রিকের রাফল দেওয়া লেয়ার যেটি কটিদেশ পর্যন্ত নেমে এসেছে। সেখান থেকেই লেয়ারের এক্সটেনশন নেমেছে নিচ পর্যন্ত। নেকলাইনের দিকে তাকান। ঠিক সংলগ্ন বুকের জায়গায় শিয়ার ফেব্রিকের ব্যবহারটিরও তাত্পর্য রয়েছে। গাউনের ঘেরে ঘন প্লিটস।
 
বাদামি এক্সটেনশন রেখেছেন চুলে বুবলি। আর মাঝসিঁথি করে দুই দিকে স্ট্র্যান্ডস করেছেন। ম্যাচিং বাদামি পাথরের দুল আর লকেট দেওয়া নেকপিস, নীলচে কন্টাক্ট লেন্স আর গোলাপি ঠোঁটে বুবলিকে দারুণ লাগছে। বুবলী ও অপুর দুই আলাদ, সুন্দর রূপ। অধিকাংশ ফ্যাশন হাউজ চলতি ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে বিশেষ নক্সায় নতুন বৈচিত্র্যের গাউন তৈরি হচ্ছে যার ঘের বুকের নিচ থেকে হয়। অন্য দিকে গাউনের দুই দিক একটু ফিটেড দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে গাঢ় রঙের কাপড়। এছাড়া যেকোনো গড়নের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বাজারে এসেছে মারমেইড কিংবা ফিশ শেপের গাউন। এ ধরনের নকশায় হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত থাকছে নেটের কুল। গতানুগতিক ধারা থেকে সরে এসে নতুনত্ব আনতে দেখা যায় সামনের দিকে ওড়নার স্টাইলের কুচি দিয়ে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে কাপড়। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের গাউন পাওয়া যাচ্ছে। পোশাক হিসাবে গাউন খুবই সুন্দর। আর অনিন্দ্যসুন্দর দুই নায়িকা যখন গাউন পরে তখন তা হয়ে ওঠে আরো অসাধারণ।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।