• মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
    ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:৪০

অনন্যা রুমার দুই তথ্যচিত্র

  • বিনোদন       
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫       
  • ২৭
  •       
  • ২৭-০২-২০২৫, ২৩:৪৩:২৪

পথরেখা অনলাইন : প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম এবং ভাস্কর নভেরা আহমেদকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে দুটি ডকুফিল্ম। অনন্যা রুমা নির্মিত তথ্যচিত্র দুটোর নাম হলো— ‘মনির: টেল অব টু কান্ট্রিস’ ও ‘নভেরা’।নভেরা আহমেদকে নিয়ে ‘নভেরা’ তথ্যচিত্র প্যারিসে নির্মিত হয়েছে। নভেরা আহমেদ এবং তার স্বামী গ্রেগয়ার দ্য ব্রুনসের সাক্ষাৎকার, নভেরা আহমেদের জীবনের শেষ সময়ের দৃশ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এটি।

চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে দুই যুগ ধরে কাজ করছেন অনন্যা রুমা। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় ধানমন্ডিস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে প্রদর্শনী হবে এটি। এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চিত্রসমালোচক মঈনুদ্দিন খালেদ, আলোচিত্র শিল্পী নাসির আলী মামুন, খ ম হারুণ, অভিনেতা কেরামত মওলা, ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, চিত্রশিল্পী আইভি জামান, শহীদ কবির। আগত অতিথিরা ফিল্মের নানা দিক নিয়ে কথা বলবেন।

শিল্পী মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশের জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস চাঁদপুর জেলায়। চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষে চারুকলায় শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৬৬ সালে। ১৯৬৯ সালে স্পেন সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেদেশে পাড়ি জমান উচ্চ শিক্ষার জন্য। এরপর থেকে স্পেনেই স্থায়ী হন। স্পেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার বহু একক ও যৌথ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া স্পেন ও মিশরের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনীতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯৭ সালে স্পেনের রাষ্ট্রীয় পদক পান মনিরুল ইসলাম। ২০১০ সালে তিনি ভূষিত হন স্পেনের মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা ‘দ্য ক্রস অব দি অফিসার অব দি অর্ডার অব কুইন ইসাবেলা’য়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননার পাশাপাশি তিনি ১৯৯৯ সালে একুশে পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদকসহ বিভিন্ন পদক ও সম্মাননা অর্জন করেন।

অন্যদিকে, নভেরা আহমেদ ছিলেন একজন বাংলাদেশি ভাস্কর। শহীদ মিনারের নকশাকার তিনি। ১৯৩৯ সালের ২৯ মার্চ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন নভেরা। বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যশিল্পের অন্যতম অগ্রদূত এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম বাংলাদেশি আধুনিক ভাস্কর তিনি। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্যারিসে বসবাস করেন।

১৯৪৭ সালে কলকাতা থেকে কুমিল্লায় চলে আসেন নভেরা। কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। পিতার অবসরগ্রহণের পর তাদের পরিবার আদি নিবাস চট্টগ্রামে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এরপর চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন তিনি। পরবর্তীতে আইন শিক্ষার জন্য তাকে লন্ডনে পাঠানো হয় ১৯৫০ সালে। ১৯৫১ সালে ভর্তি হন ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটসে ন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন ডিজাইনের মডেলিং ও স্কাল্পচার কোর্সে। সেখানে পাঁচ বছর মেয়াদের ডিপ্লোমা কোর্স করার পর ১৯৫৫ সালে ইতালির ফ্লোরেন্স ও ভেনিসে ভাস্কর্য বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।