পথরেখা অনলাইন : আগামী ১১ ডিসেম্বর আইএমএফ-এর বোর্ড সভায় ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক নগরীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দফতরে আইএমএফের পরিদর্শনকারী পর্যালোচনা দলের সাথে বৈঠকের পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এ ব্যাপারে দুই পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। এজন্য, আমরা আশা করি যে ১১ ডিসেম্বর আইএমএফের বোর্ড সভায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন করা হবে।’ তিনি জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএমএফের দেওয়া বেশ কিছু শর্ত পূরণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় আইএমএফ পর্যালোচনা দলের সঙ্গে বৈঠকে বসে। বেলা ১১টার দিকে আলোচনা শেষ হয়। আইএমএফ রিভিউ টিম ৪ অক্টোবর ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তির প্রথম কিস্তির অগ্রগতি ও ব্যবহার পরীক্ষা করতে বাংলাদেশে আসে। বৈঠকের পর মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ দল বাংলাদেশের কাঠামোগত সংস্কারের প্রচেষ্টায় সন্তুষ্ট। তিনি ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি আশা করছেন।
ঋণের জন্য আইএমএফ যে ছয়টি শর্ত বেঁধে দিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ চারটি পূরণ করতে পেরেছে। আইএমএফ দ্বিতীয় কিস্তির জন্য আর কোনো শর্ত যোগ করছে না। হক বলেন, এ শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে বাজারের ওপর ভিত্তি করে একক বিনিময় হার, মুদ্রানীতির আধুনিকীকরণ, ঝুঁকি-ভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর আইএমএফ পদক্ষেপ ও এগুলোকে একটি নির্দিষ্ট স্তরে উন্নীতকরণ এবং বাজার ভিত্তিক কর রাজস্ব ও সুদের হার সংগ্রহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রিজার্ভ ও রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি বর্ণনা করেছি। গৃহীত পদক্ষেপ এবং চলমান প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেছি। তারা এর মাধ্যমে আশ্বস্ত হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৮শতাংশের নিচে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালানো হবে।
পথরেখা/আসো