• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৬

শরতের স্নিগ্ধতায় রঙের মাধুরিমা

পথরেখা অনলাইন : উমার মর্ত্যে আগমন উপলক্ষ্যে ভক্তদের মধ্যে চলছে নানা আয়োজন। লাল-সাদা রং দিয়েই শারদ সংগ্রহের দিকে সকলের ঝোঁক। শরত ও পূজার উত্সবমুখর আবহের সমন্বয় করার ভাবনা থেকেই শারদীয় ও শরতের রংগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে চলছে শারদ সংগ্রহ। শরত আসলেই দেখা যায় কাশফুলের হালকা স্নিগ্ধ রঙের পোশাকে ঘুরতে যাওয়া হাজারো নারীদের।
 
শরত মানে পোশাকে এক সহজ সাধারণ নম্র হালকা নকশার ডিজাইন। তাই শরতকে কেন্দ্র করে পোশাকগুলো বেশ স্বচ্ছ, হালকা এবং স্নিগ্ধতায় তৈরি করা হয়। শরতকে কেন্দ্র করে নানান ফ্যাশন হাউজের নানা উদ্যোগের পাশাপাশি মানুষ নিজস্ব পছন্দসই পোশাক তৈরি করে থাকে।
 
শরতের সাজ-পোশাকে নীল ও সাদা রংকে প্রাধান্য দেওয়া হয় বেশি। প্রকৃতির সঙ্গে এই রং ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই সময়ে মানুষ ঘুরে বেড়াতে বেশ পছন্দ করে এবং ঘুরে বেড়ানোর জন্য খুব স্নিগ্ধ এবং সাধারণ পোশাক বেছে নেয় কারণ শরত্কালের গরমের একটা তীব্রতা থাকে। তবে শরতের উৎসবের আমেজে সাদা-নীলেই আটকে নেই পোশাক। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা রঙের সমাহার। চলতি বছর পূজা উপলক্ষ্যে পোশাকের ব্র্যান্ড ভারমিলিয়ন ‘শরতের আনন্দ ছড়িয়ে যাক, সবার মনে, সবার প্রাণে’ এই স্লোগানকে প্রাধান্য দিয়েছে।
 
ভক্তি, শক্তি, শ্রদ্ধা, জ্ঞান, প্রকৃতি-দূর্গাপূজার মাহাত্ম্যের এই দিকগুলোকে প্রাধান্য দিয়েই পোশাকের ডিজাইন করা হয়েছে। সাদা-লালের আধিক্য তো রয়েছেই। সেইসঙ্গে রয়েছে আলপনা ও পদ্মের জলছাপও। পূজার পাঁচটি দিনের অন্তত এক দিন শাড়িপরা চাই-ই। এমনকি যারা শাড়ি পরে অভ্যস্ত নন, তারাও মেনে চলেন এই নিয়ম। বিভিন্ন রঙের ডোরাকাটা দিয়ে পুরো শাড়িতে নকশা করে তার নাম রাখা হয়েছে ‘ডোরা’। শরতে আধিপত্য দেখানো নীল রং প্রাধান্য পেয়েছে এই শাড়িতে। তবে এই শাড়িতে আরও অনেক রঙের আধিক্য রয়েছে। বেলিফুলের সুবাস আর তার সৌন্দর্য বাতাসে ছড়িয়ে দিতে শারদ আয়োজনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ‘বেলি’। আকাশি আর বেগুনির দারুণ সমন্বয় এই শাড়ি। তা ছাড়া পাড় ও আঁচলের বেলিগুলো যেন স্নিগ্ধতা ও সুবাস ছড়িয়ে যাচ্ছে সারাক্ষণ। এই রোদ, এই বৃষ্টি-বেলিকে নিয়েই এই কাজ।
 
গ্রামীণ চিত্রকলা, স্থানীয় সংস্কৃতির ছোঁয়াও আনা হয়েছে মধুবনী চিত্রের মোটিফ দিয়ে শাড়ির পাড় আর আঁচলে। শাড়ির জমিনে রয়েছে জলছাপের লোকজ মোটিফ। অফ হোয়াইট আর ম্যাজেন্টা প্রাধান্য পেয়েছে ‘রজনী’তে। ঠিক টেরাকোটার বুনন এনেছে শাড়ির ওপর। পূজার দিনে স্নিগ্ধতায় ভরিয়ে রাখতে আছে ‘বীণা’। পদ্মকে প্রাধান্য দিয়ে করা হয়েছে ‘পদ্মাবতী’ নামে একটি শাড়ি। এই শাড়ির জমিন মাটিরঙা এবং পাড়ে পদ্মের ছাপ ও আলপনা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শারদীয় আমেজের ক্ষেত্রে ভিন্ন মেজাজের দিকেই এগিয়েছে ভারমিলিয়ন। আঁচলে পানির আলপনা ও মন্দিরের কাঠামোগত শেপের জটিলতা থাকার পরও ‘পদ্মাবতী’ শাড়ির স্নিগ্ধতা ইতোমধ্যে অনেককে আকর্ষণ করেছে। গরদ শাড়ির মতো আমেজ নিয়ে আসা হয়েছে ‘রজনী’ নামক শাড়িতে। প্রতিটি শাড়ির সঙ্গে কম্বো সেট করার ক্ষেত্রেও তারা ভেবেছে। পূজার আনন্দ সবার সঙ্গেই ভাগ করে নিতে হয়। এই ভাগ করে নেওয়া মানে পোশাক কেনায় পুরো পরিবারের অংশগ্রহণ। নাগরিকজীবনে একে একে প্রকৃতির ও গ্রামের ছোঁয়াও জরুরি। আর ফ্যাশন হাউজ ঋতুর প্রাকৃতিক রং আর শারদীয় লাল-সাদার মধ্যেও সরলতা আসতে পারে।
 
পূজায় ভক্তির সঙ্গে জমে ওঠে প্রেমও। তাই শাড়ি ও ব্লাউজের নকশা ও রঙের সঙ্গে মিল রেখে রাখা হয়েছে পাঞ্জাবিও। বাঙালি উত্সবে বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে শাড়ি-পাঞ্জাবির জুড়ি মেলা ভার। পূজাতে থাকে অনেকগুলো দিন। দশমী ছাড়া বাকি ৪ দিন আড্ডা, বেড়ানো, আতিথেয়তা-আপ্যায়নে চাই স্বাচ্ছন্দ্য। তাই শাড়ির পাশাপাশি শারদ সংগ্রহে সমান গুরুত্ব পেয়েছে সালোয়ার-কামিজ, লং জামা, ক্রপটপ ও স্কার্ট। ফ্যাশন হাউজগুলোর মধ্যে ফিউশনের চেষ্টা ও সত্সাহস দেখা গেছে। 
 
ভারমিলিয়নের কো-ফাউন্ডার ইমতিয়াজ রাসেল বলেন, ‘ভারমিলিয়ন এবার নিজস্ব সিল্ক নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছে। ভারমিলিয়ন সিল্ক আমরা নিজেরাই বানাচ্ছি। এটিকে সরাসরি মসলিন বলা যাচ্ছে না। মসলিনেরই একটি ধরন বলতে হয়। আমরা পোশাকের ক্ষেত্রে ফ্যামিলি কম্বো, শরত আর পূজার আমেজকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছি। তার প্রতিটির প্রতিফলনই রয়েছে আমাদের কাজে। আশা করি এই পূজার আয়োজন সবার পছন্দ হবে।’
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।