• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫০

ভূ-পৃষ্ঠের পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের ফলে আমনের ফলন বৃদ্ধি

 পথরেখা অনলাইন : সরকার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ভূ-পৃষ্ঠের পানি সংরক্ষণ প্রকল্প চলতি মৌসুমে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে ২৫৮ কোটি টাকা মূল্যের এক লাখ টন অতিরিক্ত আমন ধান উৎপাদনে কৃষকদের সহায়তা করছে। সংশ্লিষ্টকর্মকর্তারা জানান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) পাঁচ বছর (২০১৯-২০২৫) মেয়াদি ‘ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
 
সুবিধাভোগী কৃষকরা জানান, প্রকল্পের আওতায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া খাল ও নদী পুনঃখননের ফলে তাদের জমিগুলো কয়েক দশক পর জলাবদ্ধতামুক্ত হয়ে পুনরায় আবাদযোগ্য উর্বর জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে, তারা চলতি মৌসুমে বিগত তিন থেকে চার দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো এসব জমিতে আমন ধান চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন। আগে তারা তাদের এসব জমিতে বছরে শুধুমাত্র একবার বোরো ধান চাষ করতে পারতেন। কারণ, বৃষ্টির পানি ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলি প্রতি বছর ছয় মাস পর্যন্ত জলাবদ্ধ থাকত। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ফতা গ্রামের কৃষক সারওয়াার আলম জানান, এবছর ইআইআর প্রকল্পটির আওতায় বিলুপ্ত প্রায় খোরানদী খালের আংশিক পুনঃখননের ফলে এলাকার ৪শ’ একর জমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত পুনরায় আবাদযোগ্য উর্বর জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ‘এলাকার অনেক কৃষকদের মতো আমিও আমার জলাবদ্ধতামুক্ত সাত একর জমিতে বিগত ৪০ বছরে প্রথমবারের মত চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষ করেছি। আমি এ বছর আমন ধান কাটার পর আলু চাষ এবং তারপর বোরো ধান আবাদ করব,’ তিনি বলেন।
 
পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলার মনুরছড়া গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন জানান, ইআইআর প্রকল্পের আওতায় বিলুপ্ত আলাইকুমারী ও ঝিনিয়া খাল পুনঃখননের ফলে এলাকার শত শত একর জমি জলাবদ্ধতা থেকে এবার মুক্ত হয়েছে। নিজাম বলেন ‘আমি চার দশক পর আমার তিন একর জমিতে এবার প্রথমবারের মত আমন ধান চাষ করেছি।’ এখন থেকে তিনি তার জমিতে বছরে তিনটি ফসল চাষ করবেন। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় বদনপাড়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ কায়কোবাদ জানান, বিলুপ্ত চতরা খাল পুনঃখননের ফলে এলাকার ১২টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ভীষণ খুশি হয়েছে। তাদের প্রায় ৩ হাজার ২০০ একর জমি জলাবদ্ধতা মুক্ত হয়ে পুনরায় আবাদযোগ্য জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
 
অনেক কৃষক সম্পূরক সেচের জন্য লো-লিফ্ট পাম্প ব্যবহার করে পুনঃখনন করা খাল থেকে সংরক্ষিত ভূপৃষ্ঠের পানি তুলে সাম্প্রতিক খরার মতো পরিস্থিতিতে সফলভাবে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন।
 
বিএমডিএ’-র রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং ইআইআর প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি থেকে কৃষকসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ ইতোমধ্যেই বহুমাত্রিক সুবিধা পেতে শুরু করেছেন।
পথরেখা/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।