পথরেখা অনলাইন : ২০১৭ সালে বিয়ে করেছিলেন কোহলি এবং অনুষ্কা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। কিছু দিন আগে অনুষ্কার একটি ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
অনুষ্কা শর্মা কি দ্বিতীয় বার মা হতে চলেছেন? বেশ কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছে। সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি করলেন বিরাট কোহলি। তাঁর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে শুরু হয়েছে। কোহলি বলেছেন, অনুষ্কাকে মা হতে দেখা তাঁর সেরা অভিজ্ঞতা।
কিছু দিন আগে অনুষ্কার একটি ছবি দেখে ভক্ত, অনুরাগীদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কোহলি বলেছেন, অনুষ্কাকে তাঁদের মেয়ের মা হতে দেখা তাঁর জন্য এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। যতই ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা থাকুক কোহলি সব সময় খেয়াল রাখেন অনুষ্কার। বিশ্বকাপের একাধিক ম্যাচে অনুষ্কাকে দেখা গিয়েছে গ্যালারিতে। কোহলি কখনও অনুষ্কার উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেন না। স্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন।
বিশ্বকাপের মাঝে এক সাক্ষাৎকারে বিবাহিত জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন কোহলি। তিনি বলেছেন, ‘‘অনুষ্কাকে আমাদের সন্তানের মা হতে দেখার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। এটাও দেখেছি মা হতে গেলে কী কী করতে হয়। অনুষ্কা সব কিছু দারুণ ভাবে সামলেছে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও একটা সিনেমার শুটিং করেছিল। যেটা আমাকে বেশ আশ্চর্য করেছিল। গর্ভাবস্থায় এক নারীর আসল শক্তি সঠিক ভাবে উপলব্ধি করা যায়।’’ অনুষ্কার মা হয়ে ওঠার প্রতিটি মুহুর্ত উপভোগ করলেও, পরিবার বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে কোনও কথা বলেননি কোহলি।
কোহলি জানিয়েছেন, এখন তাঁর এবং অনুষ্কার প্রধান লক্ষ্য ভাল বাবা-মা হয়ে ওঠা। কোহলি বলেছেন, ‘‘যখন আমাদের দু’জনের আলাপ হয়েছিল, তখন আমরা আলাদা ব্যক্তি ছিলাম। তার পর একত্রে দু’জনে মানুষ হিসাবে গড়ে উঠেছি। আলাদা ব্যক্তি হিসাবে পরিচয় ক্রমশ কমেছে আমাদের মধ্যে। প্রতি দিন প্রতিনিয়ত আমরা আরও ভাল মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদের মতো।’’ মা হওয়ার পর অনুষ্কা নিজের পেশাগত ব্যস্ততা অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। সন্তানকে যতটা বেশি সম্ভব সময় দেওয়ার জন্য কম কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী।
কোহলি মেনে নিয়েছেন, অনুষ্কার সঙ্গ তাঁকে অনেক পরিণত করেছে। জানিয়েছেন, অনুষ্কাই তাঁকে শিখিয়েছেন নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে এবং তাতে স্থির থাকতে। কোহলি বলেছেন, ‘‘অনুষ্কা আমাকে সব সময় বলে, তুমি যদি সত্যিই সত্যের পক্ষে থাক, তা হলে নিজের মতে স্থির থাকবে। অন্য কিছু নিয়ে ভাবার দরকার নেই। নিজের পথ নিজে তৈরি করবে। সব সময় নিজের কাছে পরিষ্কার থাকবে।’’
পথরেখা/আসো