• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:৩৬

স্মার্ট নাগরিকরাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

পথরেখা অনলাইন : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানব সম্পদই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার। স্মার্ট নাগরিকরাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এজন্য প্রচলিত শিক্ষার সাথে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার উপযোগী  স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা অনুষদের প্রফেসর হাবিবুল্লাহ হলে অ্যাকসনিস্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য নেতৃত্বের দক্ষতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবি আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমাদের সম্পদের নাম হচ্ছে মানুষ। আমরা তাদেরকে সম্পদে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা যান্ত্রিক শিল্প বিপ্লব নয়, আমরা একটি মানবিক শিল্প বিপ্লব বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে কাজ করছি। প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব মিস করে প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে মানুষ এবং যন্ত্রের মিশেলে এই মানবিক শিল্প গড়ে তোলা  আমাদের  লক্ষ্য।’
 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রা শুরু হয়। এসময় কম্পিউটার প্রযুক্তি সাধারণের  ক্রয় ক্ষমতায় পৌঁছে দিতে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মেরুদন্ড। ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল সংযুক্তির শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাড়িয়ে  স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে সরকার। ডাকসুর সুর্যসেন হল শাখার সাবেক নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক মোস্তাফা জব্বার বলেন, সারা পৃথিবীর সেরা লাইব্রেরি হচ্ছে ইন্টারনেট। তিনি এটির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী স্মার্ট মানব সম্পদের জন্য ডিজিটাল মানব সম্পদ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, স্মার্ট নাগরিক হওয়ার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানি কিংবা মহাকাশ বিজ্ঞানি হওয়ার প্রয়োজন নেই , দরকার নূন্যতম ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন।
 
‘নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মার্ট নাগরিক কিংবা স্মার্ট সমাজ  দক্ষ মানবসম্পদের ওপর নির্ভরশীল। কম্পিউটারে বাংলাভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গত পৌঁনে পনের বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মন্ত্রী বলেন ‘২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করেন এবং ২০২৪ সালে আমরা তাকে পুনরায় নির্বাচিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যে কোনো মূল্যে আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই দেশটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে যে রূপান্তর ঘটিয়েছেন তা অব্যাহত রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে তিনি সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
 
অ্যাকসনিস্ট ফাউন্ডেশনের  নির্বাহী পরিচালক এএনএম ফকরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. বার্নড স্পেনিয়ার, এটুআই কর্মকর্তা মানিক মাহমুদ এবং অ্যাকসনিস্ট ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি রাইসা নাসের বক্তৃতা করেন। বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পথরেখা/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।