• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৯

ফার্মাসিস্ট হওয়ার গল্প

নিলয় আহমেদ : ফার্মেসি স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা। অল্প টাকায় অনেক লাভজনক এবং সম্মানজনক একটি পেশা ফার্মেসি ব্যবসা। যারা ফার্মেসি ব্যবসা করতে চাচ্ছেন বা অলরেডি ফার্মেসি ব্যবসা করছেন তাদের কিছু কাজ সম্পূর্ণ করে নিতে হয়। যেমন- ড্রাগ লাইসেন্স করা, ফার্মাসিস্ট কোর্স কমপ্লিট করা, ফান্ডিং ম্যানেজ করা ইত্যাদি। আজ আপনাদের জানাবো ফার্মাসিস্ট কোর্স করার নিয়ম সম্পর্কে। ফার্মাসিস্ট কোর্স কিভাবে করবেন, ফার্মাসিস্ট কোর্স কোথায় করা যায়, ফার্মাসিস্ট কোর্স করার যোগ্যতা, ফার্মাসিস্ট কোর্স ফি কত ইত্যাদি।
 
আগে জেনে নিউ ফার্মাসিস্ট কোর্সের ধরন নিয়ে। ফার্মাসিস্ট কোর্স তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা- এ, বি ও সি ক্যাটাগরি। আপনি যদি ফার্মাসিস্ট কোর্স সম্পূর্ণ করে শুধু ফার্মেসির ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার জন্য সি ক্যাটাগরি হলেই চলবে। সি ক্যাটাগরি কোর্সের সার্টিফিকেট বা লাইসেন্স থাকলেই আপনি ঝামেলা ছাড়াই ফার্মেসি ব্যবসা করতে পারবেন। সি ক্যাটাগরি ফার্মেসি কোর্স ও অন্যান্য ক্যাটাগরি কোর্সের সার্কুলার প্রকাশিত হয় ‘বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল’ থেকে। আপনি গুগলে খোঁজ করলে পেয়ে যাবেন বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অফিসের ঠিকানা।
 
ফার্মাসিস্ট কোর্স করতে চাইলে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখবেন; কখন সার্কুলার প্রকাশিত হয়। আগেই বলে রাখি কখনো কখনো ওয়েবসাইটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এমনটি হলে অপেক্ষা করে পরে পুনঃ চেষ্টা করবেন। সি ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট কোর্সের মেয়াদকাল তিন মাস। আপনি জানুয়ারি মাসে ভর্তি হলে মার্চ মাসের মধ্যে আপনার কোর্স সম্পন্ন হয়ে যাবে। কখনো কখনো এর বেশি সময় লাগতে পারে। সিরিয়াল পেতে এক বছর সময়ও লাগতে পারে।
 
এরপর বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল আরেকটি নতুন ব্যাচ শুরু করবে এবং প্রতি ব্যাচে ১০০জন করে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে কোর্স বন্ধের নোটিশ না আসা পর্যন্ত এভাবেই তিন মাস পর পর একটি ব্যাচ বের হবে এবং একটি ব্যাচ কোর্স শুরু করবে। আপনি আপনার সুবিধা মতো যেকোনো ব্যাচের সঙ্গে ফার্মাসিস্ট কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। আবেদনকারীকে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স ১৭-৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স আছে এমন ফার্মেসির মালিক কিংবা ওই ফার্মেসিতে কাজ করে এমন কোন ব্যক্তি।
 
এ ক্যাটাগরি এবং বি ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট কোর্স করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সাইন্স থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করতে হবে। তারপর চার বছর মেয়াদী একটি ডিপ্লোমা কোর্স করার মাধ্যমে ‘এ’ ক্যাটাগরি‘ বি’ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট হতে পারবেন। অন্যদিকে সি ক্যাটাগরির জন্য সাইন্স বাধ্যতামূলক না। আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের সার্টিফিকেটের ফটোকপি, কর্মরত ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্সের ফটোকপি বা মনোনীত ব্যক্তির নিজের ফার্মেসীর ভাউচারে মালিক কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি,সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোর্সের নির্ধারিত ফি (অফেরৎ যোগ্য) জমা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে কোর্সের ফি উল্লেখ করা থাকে। একজন এমবিবিএস ডাক্তারের সাধারণত যে ধরনের প্রেসক্রিপশন স্লিপ থাকে বা প্যাড থাকে, সে ধরনের প্যাডের মধ্যে লিখিতভাবে ড্রাগ লাইসেন্স ধারণকারীর স্বাক্ষর অঙ্গীকারনামা লাগবে। এসব কাগজপত্র জমা দিলে তারা যাচাই করে ঠিক মনে করলে আপনি এই ফার্মেসি কোর্স করতে পারবেন।
 
সব থেকে বেশি প্রশ্ন আসে- কোথায় ভর্তি হবেন, কিভাবে ভর্তি হবেন? আপনার উপজেলা বা জেলায় বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট্রি কার্যালয়ে ভর্তি হবেন। ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল দিলেও ভর্তি নিয়ে থাকে বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট কার্যালয়। দেশের প্রত্যেকটি জেলায় বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট্রি কার্যালয় রয়েছে। এমনকি আপনার উপজেলায়ও এর কার্যালয় থাকতে পারে। ফার্মেসি কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেশের সব কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া আছে। আপনার উপজেলার বা জেলার বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট্রি কার্যালয়ে যোগাযোগ করবেন। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আপনাকে বিস্তারিত জানাবেন। সে অনুযায়ি ফার্মাসিস্ট কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। এছাড়াও আপনার এলাকার বা আপনার পরিচিত কোনো ফার্মাসিস্টের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ফার্মাসিস্ট কোর্স করার নিয়ম জানা থাকলেও ভর্তি হওয়ার পূর্বে কোনো অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্টের সঙ্গে আলোচনা করলে বেশ উপকৃত হবেন। তিন মাস মেয়াদী সি ক্যাটাগরি ফার্মাসিস্ট কোর্সের জন্য শুধু ‘সহজ ঔষুধবিজ্ঞান’ বইটি পড়তে হয়। ফার্মেসি কাউন্সিল বইটি প্রকাশ করে থাকে। কোর্সে ভর্তি হলে সরাসরি অফিস থেকেই আপনি বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে ফার্মাসিস্ট কোর্স করে আপনি চিকিৎসা দিতে পারবেন না। যদি চিকিৎসা দেন, তাহলে বেআইনি হবে। আপনি প্রেসক্রিপশন দেখে শুধু ঔষধ বিক্রি করতে পারবেন। 
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।