পথরেখা অনলাইন : বগুড়া জেলার মাঠে মাঠে পাকা-আধা পাকা নতুন ধানের গন্ধ। শুরু হয়েছে আগাম রোপণ করা আমন ধান কাটার মৌসুম। আর ১৫ দিন পর কৃষক পুরামাত্রায় ধান কাটা ব্যস্ত সময় পার করবে। আমন ধানের জন্য উঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজে ব্যস্ত কৃষাণীরা। অনাবৃষ্টি এবার কৃষকদের ভুগিয়েছে।তবুও তারা দমে যায়নি। আবহাওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাঠে ধান চাষ করেছেন। সফলও হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান জানান, এ বছর বর্ষ মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা খরার মোকাবিলা করে আমন ফলিয়েছে। প্রকৃতির বিরুপ আবহাওয়া সত্বেও এ বছর বগুড়ায় আমনের লক্ষ্য অতিক্রম করবে। জেলার সোনাতলার কৃষক আব্দুল বারি জানান, এ বছর কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় তাদের খরার সাথে সেচ দিয়ে মোকাবিলা করতে হয়েছে। এতে সফলতা এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ ধানের ফলন হয়েছে ভালো।
জেলাকৃষি কর্মকর্তা জানান এ বছর জেলায় ১ লাখ ৮১ হাজার ৫শ‘ হেক্টর রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল । কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ১০ হেক্টর বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে।আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয় ৫ লাখ ৯৯ হাজার( চাল আকারে) মেট্রিকটন। গত বছর আমন উৎপাদন হয়েছিল(চাল আকারে ) ৫ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন।গত বছরে চেয়ে এবছর বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক।
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত ১৬ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।আর দুই সপ্তাহ পরে ধান কাটাচলবে পুরা মাত্রায়।যারা আগাম আমন লগিয়েছে তারা পাকা ধান কাটাতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।ধান কাটা শেষে কৃষক এ ক্ষেতেই আগাম আলু চাষ করবেন এমনটি জানালেন কৃষি কর্মকর্তারা।
পথরেখা/আসো