পথরেখা অনলাইন : ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার গত দেড় মাসে কয়েক দফায় ২৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি প্রদান করে। এর মধ্যে ৬২ হাজার ডিম দেশে পৌঁছেছে। সরকারের ডিম আমদানির এই পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে খুচরা বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে পড়েছে। কয়েকদিন আগের ১৫ টাকার ডিম এখন ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি ৫ টাকা দাম কমায় ভোক্তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, গতকাল সোমবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ হিসাবে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও শেওড়াপাড়া বাজারেও এই দামে ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন,‘ ডিম আমদানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ডিমের দাম কমানো। আমরা সেখানে সফল হয়েছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে।’ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি ফার্মের ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা দর ১২ টাকা বেঁধে দেয়ার তিন দিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া শুরু করে মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত ২৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। বাণিজ্য সচিব বলেন, ডিম আমদানি শুরু হওয়ার পরপরই ডিমের দাম কমতে শুরু করে। তবে কোন প্রতিষ্ঠান যেন কৃত্রিমভাবে আবার দাম বৃদ্ধি করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। প্রতিযোগিতা কমিশন এ নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে আমদানি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবো। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, শুধুমাত্র ডিম নয়, আলু, তেল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল বা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পথরেখা/আসো