• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:২৯

ডিমের দামে নাগরিক জীবনে স্বস্তি

পথরেখা অনলাইন : ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার গত দেড় মাসে কয়েক দফায় ২৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি প্রদান করে। এর মধ্যে ৬২ হাজার ডিম দেশে পৌঁছেছে। সরকারের ডিম আমদানির এই পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে খুচরা বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে পড়েছে। কয়েকদিন আগের ১৫ টাকার ডিম এখন ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি ৫ টাকা দাম কমায় ভোক্তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
 
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, গতকাল সোমবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ হিসাবে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও শেওড়াপাড়া বাজারেও এই দামে ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন,‘ ডিম আমদানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ডিমের দাম কমানো। আমরা সেখানে সফল হয়েছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে।’ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি ফার্মের ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা দর ১২ টাকা বেঁধে দেয়ার তিন দিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া শুরু করে মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত ২৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। বাণিজ্য সচিব বলেন, ডিম আমদানি শুরু হওয়ার পরপরই ডিমের দাম কমতে শুরু করে। তবে কোন প্রতিষ্ঠান যেন কৃত্রিমভাবে আবার দাম বৃদ্ধি করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। প্রতিযোগিতা কমিশন এ নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান। 
 
তিনি বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে আমদানি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবো। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, শুধুমাত্র ডিম নয়, আলু, তেল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল বা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।