পথরেখা অনলাইন : সুন্দরী অন্বেষণের সবচেয়ে বড় আয়োজন মিস ইউনিভার্স। ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে এর ৭২তম আসরের গ্র্যান্ড ফিনাল। এতে সবাইকে টপকে মুকুট জিতে নিয়েছেন নিকারাগুয়ার তরুণী শেনিস আলোন্দ্রা পালাসিওস। প্রথমবারের মতো সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশটিতে মিস ইউনিভার্স তকমা পৌঁছালো। মিস ইউনিভার্সের এই আসরে প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন যথাক্রমে মিস থাইল্যান্ড আন্টোনিয়া পোরসিল্ড ও মিস অস্ট্রেলিয়া মোরায়া উইলসন।
অনুষ্ঠানে মুকুট জেতার পর নিজের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে তরুণী শেনিস আলোন্দ্রা পালাসিওস বলেন, ‘জীবনের অনেকগুলো বাকেট লিস্ট ছিল। কোনো একটি পূরণ করব। সবগুলো পূরণ হবে তা কোনোদিন ভাবিনি। মিস ইউনিভার্সের এই মুকুটটি এতটাই অনুপ্রেরণাদায়ী যে, জীবনের সকল ইচ্ছে পূরণ করে দেয় নিমিষেই।’
মিস ইউনিভার্স হওয়ার সুবাদে একটি মূল্যবান মুকুট পাচ্ছেন পালাসিওস। এছাড়াও থাকছে আর্থিক পুরস্কারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি। এই আসর থেকে তিনি নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়ে যাবেন বাড়িতে। এর বাইরে বিভিন্ন প্রসাধনী, জুয়েলারি ও পোশাক ব্র্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতা তো থাকছেই।
এবারের আয়োজনে বিজয়ীর মাথায় যে মুকুট পরানো হয়েছে, সেটার দাম ৫ মিলিয়ন ডলার। মিস ইউনিভার্সের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দামি মুকুট বলে জানা গেছে। এটি তৈরি করেছে লেবানিজ প্রতিষ্ঠান মওয়াওয়াদ।এর আগে ২০২০ সালে মিস নিকারাগুয়া হয়েছিলেন শেনিস পালাসিওস। পরের বছর তিনি মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিন্তু সেখানে সেরা ৪০-এ গিয়েই বাদ পড়েন। দুই বছর পর সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্তায় তিনি বিশ্বজয় করলেন।
কৈশোরেই মডেলিং জগতে পা রেখেছিলেন শেনিস পালাসিওস। ২০১৬ সালে তিনি মিস টিন নিকারাগুয়া খেতাব পেয়েছিলেন। সোশ্যাল হ্যান্ডেলেও তার বেশ নামডাক রয়েছে। ইনস্টাগ্রামে এই সুন্দরীকে অনুসরণ করেন সাড়ে ছয় লক্ষাধিক মানুষ। মিস ইউনিভার্স আসরে পালাসিওসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি অন্য কোনও নারীর ভূমিকায় এক বছর কাটাতে হয়, তাহলে তিনি কাকে এবং কেন বাছাই করবেন?
পথরেখা/আসো