পথরেখা অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওকলার তথ্য অনুযায়ি মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশ কিছুটা এগিয়েছে। গত এক বছরে বাংলাদেশের ইন্টারনেটের ডাউনলোড ও আপলোড গতি বেড়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির অক্টোবর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেটে বিশ্বের ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১তম। মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড ২০ দশমিক ৬৬ এমবিপিএস। আর আপলোড স্পিড ১০ দশমিক শূন্য ৬ এমবিপিএস। ২০২২ সালের নভেম্বরে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ওকলার র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৯তম। অর্থাৎ এক বছরে র্যাংকিং ৮ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
একই সময়ে (২০২২ সালের নভেম্বর) মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড গতি ছিল ১৩ দশমিক ৯৫ এমবিপিএস এবং আপলোড গতি ছিল ৮ এমবিপিএসের নিচে। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি ৬ দশমিক ৭১ এমবিপিএস বেড়েছে। আপলোড গতি বেড়েছে ২ দশমিক ১ এমবিপিএসের বেশি।
তবে, গতি বাড়লেও উগান্ডার চেয়ে ৪১ ধাপ পেছনে বাংলাদেশ। টোগো, কেনিয়ার মতো দেশগুলোর চেয়েও ইন্টারনেটের গতির র্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির ক্ষেত্রে উগান্ডাকে বহু পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, ইরান, পাকিস্তান ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে নেপাল (৮৭তম) ও ভারত (৮৯তম)।
অন্যদিকে মাত্র ৩ এমবিপিএস গতির মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে নিচে কুবা (১৪২তম)। তার ঠিক ওপরে ১৪১তম অবস্থানে তালেবান সরকারের শাসনে থাকা আফগানিস্তান। দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ৪ দশমিক ৭৩ এমবিপিএস। ৭ দশমিক ১৫ এমবিপিএস গতি নিয়ে নিচের দিক থেকে তৃতীয় ইয়েমেন (১৪০তম)।
মোবাইল ইন্টারনেটে এখন বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে ডাউনলোড স্পিড ২৬৯ দশমিক ৪১ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ২৫ দশমিক ৪৯ এমবিপিএস। ২০৬ দশমিক ৮০ এমবিপিএস গতি নিয়ে ওকলার তালিকায় মোবাইল ইন্টানেটে দ্বিতীয় অবস্থান কাতার।
পথরেখা/আসো