পথরেখা অনলাইন : দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ৩৩ কোটি ৬ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ৭০২ কোটি ৭২ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১০.২০ টাকা ধরে)। ভ্যাকসিন, থেরাপিউটিকস, ডায়াগনস্টিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ও রেগুলেটরি স্ট্রেন্থনিং প্রজেক্টের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় নিয়ন্ত্রককে শক্তিশালী করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে এই ঋণ চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।
এডিবি জানায়, গোপালগঞ্জে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) বিদ্যমান অবস্থানে একটি ভ্যাকসিন, থেরাপিউটিক এবং ডায়াগনস্টিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি ও গুদামজাতকরণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। যেখান থেকে প্রতি বছরে ৫৮ মিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা সৃষ্টি হবে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (জিএভিআই) মাধ্যমে সরবরাহকৃত ভর্তুকিযুক্ত ভ্যাকসিন দ্বারা সমর্থিত টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে স্নাতক হওয়ায়, (জিএভিআই) থেকে ভ্যাকসিনের সরবরাহ পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য প্রাণবন্ত ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করবে। এছাড়া, মধ্য মেয়াদে টেকসই সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের মহামারিগুলোকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশের সক্ষমতা তৈরি করবে।
এডিবি জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী গ্লোবাল বেঞ্চমার্কিং টুলের সম্মতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষমতা পদ্ধতি উন্নত করার পাশাপাশি ল্যাবরেটরির মান ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রক পরিদর্শন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে এই ঋণ। এই ঋণ টেকসইভাবে কার্যকরী এবং সমন্বিত নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ উন্নত করা হবে।
পথরেখা/অআ