• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৪৬
মিলনমেলায় স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন গড়ার দৃঢ় শপথ নেতৃবৃন্দের

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনও

বিশেষ প্রতিবেদন : ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন’ গড়ার লক্ষ্যে শনিবার, ৯ ডিসেম্বর শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে বসেছিল ক্রীড়াসংগঠক, ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াব্যক্তিত্বের মিলনমেলা। মহান বিজয় মাসে এই আয়োজনে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক, খেলোয়াড়, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক সবাই মিলিত হয়েছেন এক ছাতাতলে। 
 
মহান বিজয় মাসে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন গড়ে তোলার শপথ নিতে মিলনমেলার আয়োজন করে যৌথভাবে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরাম। 
 
 
অনুষ্ঠানে দেশের ক্রীড়াঙ্গনসহ দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং অর্জনের কথা তুলে ধরেন বক্তারা। ক্রীড়াঙ্গনের উৎসব আয়োজন উপস্থিত ছিলেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়াসংগঠক মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্রীড়া সংগঠক ফোরামের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সাইফ পাওয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক আসাদুজ্জামান কোহিনূর, এক সময়কার মাঠ কাঁপানো ফুটবলার আব্দুল গাফফার, আশরাফ উদ্দিন চুন্নুসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শেষ প্রান্তে এসে মিলনমেলার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলেন ঢালিউড নায়ক এবং ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন। এই ক্রীড়া মিলনমেলার পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড। 
 
ক্রীড়া উৎসবের আয়োজনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ক্রীড়া সম্মেলনের আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই। এই অঞ্চল রাজধানীর ঢাকার অন্যতম  গুরুত্বপূর্ণ।আমি আপনার এখানে এসেছি একজন আওয়ামী লীগের সংসদীয় প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু নির্বাচন আচরণ বিধি অনুযায়ী আমি এখানে ভোট চাইতে পাবর না। আমি আপনারদের কাছে দোয়া চাই।’
 
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আপনারা পাশে থাকলে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আমরা দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা সচল রাখতে পারব। আপনাদের ভোটে আমরা পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে দেশের জন্য, ক্রীড়াঙ্গনের জন্য, ক্রীড়াবিদদের জন্য, ক্রীড়াসংগঠকদের জন্য সর্বোপরি দেশের জন্য কাজ করতে চাই। দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত রাখতে চাই।’ তিনি ক্রীড়া মহাসম্মেলনে যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসছেন তাদের প্রতি দেশরত্ম শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা অনেক কষ্ট করে এখানে এসেছেন। আমরা আমাদের প্রিয় নেত্রীর জন্য আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আমার বিশ্বাস আপনারা মানুষকে প্রভাবিত করতে পারবেন।’
 
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়াসংগঠক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল জাতির পিতার সঙ্গে সরাসরি কাজ করার। তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে অনেক ভালোবাসতেন। খেলা দেখতে মাঠে ছুটে আসতেন। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমাদের তার নির্দেশে ক্রীড়াঙ্গনে কাজ করতে হয়েছে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে। এখন সেই অবস্থা নেই। বরং বাংলাদেশ জিডিটাল থেকে স্মার্ট যুগে প্রবেশ করছে। ক্রীড়াঙ্গনের এর আলে পড়েছে।’ তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে পিতার আদর্শের পথ ধরেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে।’ এই বর্ষীয়ান ক্রীড়াব্যক্তিত্ব আরো বলেন, ‘আমি আওয়মী লীগ করি বলেই বলছি না- জননেত্রী শেখ হাসিনার খেলাধুলার প্রতি যে আকর্ষণ তা খুবই বিরল। তিনি খেলাধুলাকে মনে-প্রাণে ধারণ করেন। তার আমলে ক্রীড়াঙ্গনের বিপুল উন্নত হয়েছে। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, বাংলাদেশ ততদিন ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাবে; উন্নত হবে। আসুন আমরা ক্রীড়াঙ্গনে সবাই সম্মিলিতভাবে তার পাশে দাঁড়াই। তার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখি।’   
 
 
অনুষ্ঠানে বক্তারা বর্তমান সরকারের সাফল্য বিশেষ করে ক্রীড়াঙ্গনে যে গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেসবের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে তরফদার রুহুল আমিন আরো যোগ করেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী পথভ্রষ্ট যুব সমাজের আলোর দিশারী হয়ে এসেছিলেন আধুনিক ক্রীড়ার প্রবক্তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। তিনি আবাহনী প্রতিষ্ঠা করে ফুটবলের আধুনিকায়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবার ক্রীড়াতে সর্বদা অবদান রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে যাত্রাকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আজকের বাংলাদেশের ক্রিকেটে যুব বিশ্বকাপ জয়, নারীদের সাফ জয়, ভলিবলে সেন্ট্রাল এশিয়ান জোনে চ্যাম্পিয়ন এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্ববলে। স্কুল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ চালু করে তৃণমূলের খেলোয়াড় তুলে আনার কাজটাও নিয়মিত করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনও।’
 
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব হলেই এদেশে স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন গড়া সম্ভব। আর তা সম্ভব হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যদি আবারো আমরা নির্বাচিত করতে পারি।’ তিনি আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থি সবাইকে শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। 
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।