পথরেখা অনলাইন : : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গত মধ্যরাতের ঠিক আগের এই কম্পনে এক শতাধিক মানুষের প্রাণহানী ও আরো কয়েক শত মানুষ আহত হয়েছে।
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে কমপক্ষে ১১৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। ভূমিকম্পে বিভিন্ন ভবন ধসে এসব লোক প্রাণ হারায়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে জোরালো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। খবর এএফপির। প্রাদেশিক ভূমিকম্প ত্রাণ সদরদপ্তরের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র সিসিটিভি জানায়, ভূপৃষ্ঠের স্বল্প গভীরে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানায় গানসু প্রদেশে শতাধিক মানুষ নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছে।
সিসিটিভি পরিবেশিত খবরে আরো বলা হয়, ভূমিকম্পের আঘাতে পার্শ্ববর্তী কিংহাই প্রদেশের হাইডং শহরে কমপক্ষে ১১ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, এ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং লোকজন নিরাপত্তার কারণে দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে আসে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় উদ্ধার কাজ চলছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বাত্মক উদ্ধার এবং ত্রাণ প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি প্রাণে বেঁচে যাওয়াদের ও তাদের সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভূমিকম্পটি কিংহাউ সীমান্তের কাছে গানসুতে আঘাত হানে। এর পাশেই হাইডং শহর অবস্থিত। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯।
এদিকে সিনহুয়া পরিবেশিত খবরে বলা হয়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। এটি চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশের জিয়ান শহরেও অনুভূত হয়। শহরটির অবস্থান ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝো থেকে প্রায় ১শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। প্রথম দফার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আরো কয়েক দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
পথরেখা/আসো