• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:৩৬
বিকেলে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন

রিজভীর নেতৃত্বে তালা ভেঙে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি

পথরেখা অনলাইন : ৭৪ দিন পর তালা ভেঙে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বন্ধ গেট খুলেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ১১ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তাঁরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
 
কার্যালয়ে প্রবেশ করে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের যুবদলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্বড চালিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়।’
 
রিজভী আরো বলেন, ‘পুলিশ এই কার্যালয়ের চাবি নিয়ে যায়। কত নাটক করেছে। তারপর গেট বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। সবই গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা দেখেছেন, জানেন। আমরা আমাদের প্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন ঢুকেছি। পুলিশের কাছে চাবি চাওয়ার পরও আমাদেরকে চাবি দেওয়া হয়নি। পরে কর্মীরাসহ তালা ভেঙে এই কার্যালয়ে আমরা প্রবেশ করি।’
 
রিজভী বলেন, ‘দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বারবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়াতন্ত্র, একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেওয়াতে তালা ভেঙে আমরা ঢুকেছি।’
 
বিকেলে সংবাদ সম্মেলন জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন পুরো কার্যালয় কী ভয়ংকর ধুলোবালি জমেছে। এটা এখন আমাদের পরিষ্কার করতে হবে। বিকেল ৩টায় আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ এই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।’
 
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেন। নিজেদের মধ্যে নিজেরা নির্বাচন করেন। নিজেদের জয়, নিজেদের পরাজয় এককভাবে ওদের নিজের জয়।’ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে দেখা গেছে পুরো কার্যালয় ধুলোবালির স্তূপ জমেছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কক্ষগুলোতে এলোমেলোভাবে পড়ে আছে চেয়ার টেবিল, কাজগপত্র, পত্রিকা।
 
গত ২৮ অক্টোবর দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছিল বিএনপি। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে সমাবেশ স্থগিত করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে চলে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা। দিনভর সংঘর্ষের পর ওই দিন এই কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যায় পুলিশ। এর পর থেকে সিআইডির ‘ক্রাইম সিন’ স্টিকার লাগিয়ে কার্যালয়ের সামনে সবার প্রবেশ বন্ধ করে রাখে এবং সেখান থেকে তারা ১১টি আলামত সংগ্রহ করে।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।