• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৪১

সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত নড়াইলের মৌচাষিরা

পথরেখা অনলাইন : নড়াইলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আবাদ হয়েছে সরিষার। সরিষা ঘরে তোলার আগেই মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় ও বাইরের এলাকা থেকে আগত চাষিরা। নড়াইল সদর, কালিয়া ও লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন মাঠে শতাধিক চাষি মধু সংগ্রহ করছেন। শীতের এই মৌসুমে মাঠ জুড়ে যেমন থাকে হলুদ সরিষা ক্ষেত তেমনি এই সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করে একটি বড় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। বছরের এই সময়ে মোটা দাগের মধু সংগ্রহের মৌসুম। জানা গেছে, বড় খামারিরা এই মৌসুমে ৮ থেকে ১০ টন মধু সংগ্রহ করবেন এবং মাঝারী বা ছোট খামারিরা ২ থেকে ৫ টন পর্যন্ত মধু সংগ্রহের আশা করছেন।
 
বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হলুদ সরিষা ক্ষেত। ঘন হলুদে চোখ জুড়ানো প্রকৃতি চলছে। সরিষা ক্ষেতের এই ফলনে দিনদিন মধু চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রত্যেক সরিষা মাঠের পাশেই বসানো হয়েছে মৌচাষের বাক্স। মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে ভরছে। এই দৃশ্য এখন সরিষা ক্ষেতের সবজায়গায়। মধু সংগ্রহ করতে আসা চাষিরা জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে আশানুরূপ মধু সংগ্রহ করতে পারবেন।
 
নড়াইল সদরের রগুনাথপুর গ্রামের খামারি মোহাম্মাদ নাছির উদ্দিন জানান, আমরা অনেকেই মধু সংগ্রহ করি ইতোমধ্যে আমরা ১ টন মধু সংগ্রহ করেছি। মধু চাষে আমরা যথেষ্ট লাভবান হচ্ছি। এছাড়া মধু চাষের ফলে সরিষার ফলন বৃদ্ধি পায় এবং পোকা মাকড় আক্রমণ কম করে।
 
মাগুরা জেলা থেকে আসা সাইফুল ইসলাম নামে এক খামারি তুলারামপুর মিতনা মাঠে ২শত মধুর বাক্স স্থাপন করেছেন। তিনি জানান, এ মৌসুমে আমাদের ২০০ বাক্স আছে। আমরা আশা করছি ৪ টন মধু পাব। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে আমাদের আশা পূরণ হবে এই মাঠ থেকে। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস জানান, আমরা মধু চাষিদের সরিষার জমিতে মধু সংগ্রহের উৎসাহিত করে থাকি, এর ফলে সরিষার পরাগায়ন যেমন ভালো হয়, এতে করে তেলের উৎপাদন বাড়ে পাশাপাশি মধুর বাজার মূল্যে ভালো হওয়ায় চাষিরা লাভবান হবে। এবং আমাদের দেশের মধুর চাহিদা পূরণ হয়।  
 
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, এবারে নড়াইল জেলায় এবছর জেলায় ১২ হাজার ৮’শ ৮৮ হেক্টর জমিতে এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে। প্রায় একশ মৌচাষি এখান থেকে ১’শ টন মধু আহরণ করতে পারবে। সরিষা ক্ষেতে মধু বাক্স স্থাপনের ফলে সরিষার ফলন ১০ থেকে ১৫ পার্সেন্ট ফলন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে মধু আহরিত হবে। এর ফলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এবং পুষ্টিতে বিশেষ অবদান রাখবে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।