• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪৬

যশোরে সরিষার বাম্পার ফলন

পথরেখা অনলাইন : জেলার আদিগন্ত বির্স্তীণ ফসলের মাঠে সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে আনন্দে উদ্বেলিত চাষিদের মন। ভালো ফলন হওয়ায় সরিষা ঘিরে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন। চাষিরা জানান, এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
সেচ, সার ও সেরকম কোনো পরিচর্যা ছাড়াই উৎপাদন ভালো ও লাভজনক হওয়ায় ফি বছর শস্যটির আবাদ বাড়ছে। সেই সাথে বিনামূলে বীজ ও সুবিধা পাওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যশোরে এবার জেলায় সরিষার চাষ হয়েছে ৩০ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬৫ হেক্টর বেশি জমি। গত মৌসুমে চাষ হয়েছিলো ২৫ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে। প্রণোদনা সুবিধার পাশাপাশি লাভজনক হওয়ায় সরিষার আবাদে ঝুঁকেছেন চাষিরা।
চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে গত দুই বছর ধরে সরিষার চাষ করছি। গতবারও ভালো ফলন হয়েছিল। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আরো কিছু সরিষা বিক্রি করেছিলাম। এ বছরও দুই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। আমন ধানের জমিতে সরিষা চাষ করতে কোনো সেচ, সার ও পরিচর্যা ছাড়াই ভালো ফলন পাওয়া যায়।
রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি জহির উদ্দীন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে সরিষার চাষ করছি। ফলনও ভালো হচ্ছে। নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজন মিটিয়ে সরিষা বিক্রি করে লাভও হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পর নিজের উৎপাদিত সরিষা ভাঙিয়ে তেল তৈরি করিয়ে নিচ্ছি। এতে অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।
সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ২ বিঘা জমিতে তিনি সরিষার চাষ করেছে। ফলন ভালো হয়েছে। এতে তিনি খুশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, সরিষা চাষের জন্য চাষিদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও তিন রকমের রাসায়নিক সার পেয়েছেন তারা। ফলে যশোরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।