পথরেখা অনলাইন : জেলার আদিগন্ত বির্স্তীণ ফসলের মাঠে সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে আনন্দে উদ্বেলিত চাষিদের মন। ভালো ফলন হওয়ায় সরিষা ঘিরে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন। চাষিরা জানান, এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
সেচ, সার ও সেরকম কোনো পরিচর্যা ছাড়াই উৎপাদন ভালো ও লাভজনক হওয়ায় ফি বছর শস্যটির আবাদ বাড়ছে। সেই সাথে বিনামূলে বীজ ও সুবিধা পাওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যশোরে এবার জেলায় সরিষার চাষ হয়েছে ৩০ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬৫ হেক্টর বেশি জমি। গত মৌসুমে চাষ হয়েছিলো ২৫ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে। প্রণোদনা সুবিধার পাশাপাশি লাভজনক হওয়ায় সরিষার আবাদে ঝুঁকেছেন চাষিরা।
চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে গত দুই বছর ধরে সরিষার চাষ করছি। গতবারও ভালো ফলন হয়েছিল। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আরো কিছু সরিষা বিক্রি করেছিলাম। এ বছরও দুই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। আমন ধানের জমিতে সরিষা চাষ করতে কোনো সেচ, সার ও পরিচর্যা ছাড়াই ভালো ফলন পাওয়া যায়।
রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি জহির উদ্দীন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে সরিষার চাষ করছি। ফলনও ভালো হচ্ছে। নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজন মিটিয়ে সরিষা বিক্রি করে লাভও হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পর নিজের উৎপাদিত সরিষা ভাঙিয়ে তেল তৈরি করিয়ে নিচ্ছি। এতে অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।
সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ২ বিঘা জমিতে তিনি সরিষার চাষ করেছে। ফলন ভালো হয়েছে। এতে তিনি খুশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, সরিষা চাষের জন্য চাষিদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও তিন রকমের রাসায়নিক সার পেয়েছেন তারা। ফলে যশোরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।