• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০৭

প্রযোজকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ অভিনেত্রীর

পথরেখা অনলাইন : ইয়ে হ্যায় মহাব্বতে ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়। পরে শুভ সগুন ডেইলি সোপে কাজ করেছেন। তবে এই ধারাবাহিকে কাজ করার পর আতঙ্কে রয়েছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় প্রযোজকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। মেকআপ রুমে আটকে রাখা হয়েছিল। এমন কী পাঁচ মাসের বকেয়া টাকা না দেওয়াসহ এতটাই হেনস্তা হয়েছেন যে সারাক্ষণ তাঁর মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে।
 
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কৃষ্ণা তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেকআপ রুমে তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় আটকে রাখা হয়েছিল। পাঁচ মাসের বেতন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক এখনো বাকি। প্রযোজকের পক্ষ থেকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সে জন্যই এত দিন মুখ বুঝে ছিলেন। ভাবতেন, আবার যদি তাঁর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে। নতুন কাজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতেও ভয় পান কৃষ্ণা। একা একাই ঘরে কেঁদেছেন।
 
এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণা আরও লিখেছেন, ‘আমি আগে মনের ভেতর জমে থাকা কথাগুলো বলার জন্য সাহস পাইনি। কিন্তু আজ সব বলব। আমি একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। গত এক থেকে দেড় বছর জীবনে অনেক কিছু সহ্য করেছি। যেগুলো আমার জন্য একেবারেই সহজ ছিল না। ভেঙে পড়েছি। যখন একা থাকি, তখন প্রচণ্ড কান্না পায়। এসব কিছুর সূত্রপাত আমার শেষ শো “শুভ সগুনের” সেট থেকে। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভুল পদক্ষেপ।’
 
কৃষ্ণা আরও লিখেছেন, ‘আমি এই শো করতে চাইনি। কিন্তু সবার কথা শুনে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছি। প্রযোজনা সংস্থা ও প্রযোজক কুন্দন সিং আমাকে একাধিকবার সমস্যায় ফেলেছেন। এমনকি আমাকে একটা দিন মেকআপ রুমে আটকে রাখা হয়েছিল। সেদিন আমার শরীর ভালো ছিল না। বলেছিলাম, শুটিং করতে পারব না। তা ছাড়া সেই সময় আমার অনেকগুলো বকেয়া টাকাও ছিল। মেকআপ রুমে এত জোরে ধাক্কা মেরেছিল যেন মনে হচ্ছিল ভেঙে যাবে। সেই মুহূর্তে আমি পোশাক বদলাচ্ছিলাম।’
 
কৃষ্ণা অভিযোগ করে আরও লিখেছেন, ‘পাঁচ মাসের টাকা পাইনি। ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোনো উত্তর দেয়নি। তবে বহুবার হুমকি পেয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।’ কৃষ্ণা পোস্টে লিখেছেন, এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে তাঁর হাত কাঁপছে। তাঁর পরিবারও মানা করেছিল অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে। তারপরও কেন লিখলেন? কৃষ্ণা এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়েছে এটা সবাইকে জানানো উচিত। আমার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’ কৃষ্ণার পোস্টে অনেকেই সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত প্রযোজকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পথরেখা/আসো 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।