পথরেখা অনলাইন : গরম বেড়েই চলেছে। প্রচণ্ড গরমে যেন কাবু হয়ে না যান, তার জন্য আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
এ সময় দিনের বেলা বাইরে বের হলে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা জরুরি, না হলে যখন তখনই হতে পারে হিটস্ট্রোক। জেনে নিন সুস্থ থাকতে কী করবেন, আর কী নয়-
সুতির পোশাক পরুন
দিনের বেলা বাইরে রোদ্দুরে বের হতে হলে অবশ্যই আলমারি থেকে সুতির পোশাকটি বের করে পরুন। রোদ, ঘাম আর উত্তাপে সিন্থেটিক, জর্জেট পরলে অস্বস্তি আরও বেড়ে যেতে পারে।
সানগ্লাস পরুন
এই গরমে রোদ থেকে বাঁচতে ও চোখের সুরক্ষায় অবশ্যই সানগ্লাস পরুন। রোদচশমা ছাড়াও মাথায় রাখুন ক্যাপ বা ছাতা।
পানির বোতল সঙ্গে রাখুন
বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে এক বোতল পানি নিতে ভুলবেন না এই গরমে। মনে রাখবেন গরমে ঘামের সঙ্গে অনেকটা পানি বেরিয়ে যায়, তাই কিছুক্ষণ পরপর এক চুমুক হলেও পানি পান করুন।
গ্লুকোজ বা সালাইন পান করুন
কেবল পানি পান না করে এতে গ্লুকোজ কিংবা স্যালাইন মিশিয়ে পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ পানির সঙ্গে মিশে বেরিয়ে যায়। পানির ঘাটতি পূরণ করবে এই পানীয়গুলো।
সানস্ক্রিন ব্যবহার মাস্ট
সানস্ক্রিন না মেখে ভুলেও দিনের বেলা রাস্তায় বের হবেন না। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া সানস্ক্রিন না মাখলে রোদে পুড়ে ট্যান পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
যা যা করবেন না :
অস্বস্তিকর পোশাক পরবেন না
সিন্থেটিক, জর্জেট কিংবা অস্বস্তি হতে পারে এমন কোনো পোশাক পরবেন না। সব সময় চেষ্টা করুন সুতির পোশাক পরার। দিনের বেলা বলে নয়, রাতেও সুতির হালকা পোশাক পরে বাইরে বের হতে পারলে ভালো।
রাস্তায় বিক্রিত কাটা ফল খাবেন না
রাস্তার ধারের খাবার ও কাটা ফল খাবেন না। গরমে অল্পেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শরীর। তাই অনেকেই পথ হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার দোকানের কাটা ফলের দোকানে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। তবে এই গরমে ডায়রিয়া ও পেট খারাপের ঝুঁকি এড়াতে কাটা ফল খাবেন না।
রঙিন পানীয় পান করবেন না
গরমে গলা ভেজাতে রঙিন পানীয়, নরম পানীয়ে চুমুক দেন অনেকেই। শরীরের জন্য এই ধরনের পানীয় একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং ডাবের পানি বা আখের রস পান করতে পারেন।
ভাজাপোড়া খাবার খাবেন না
এই গরমে ডোবা তেলে ভাজা লোভনীয় খাবার একেবারেই খাবেন না। চোখে পড়তেই পারে। ইচ্ছা হলেও গরমে ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছা সংবরণ করুন। না হলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
সূত্র: অনলি মাই হেলথ
পথরেখা/এআর