• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৪০

শিলাইদহে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান

পথরেখা অনলাইন : জেলার  শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে  আজ কবি গুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন হয়েছে।বেলা সাড়ে ১১ টায় কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দু রকিব।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় রবীন্দ্রনাথের গান,কবিতা ও সাহিত্য জীবন নিয়ে আলোচনা করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরোয়ার মুর্শেদ রতন।
 
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুষ্টিয়ার শিলাইদ কুঠিবাড়ীতে না আসলে তাঁর বিশ^খ্যতি যেমন অর্জন হতো না, তেমনি ভাবে শিলাইদহের কুঠিবাড়ী রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য জীবনকে আরও খ্যাতিমান করে তুলেছে। তাই কবি গুরুর জীবনে শিলাইদহের গুরুত্ব অনেক বলে মন্তব্য করেন আলোচনা সভায় বক্তারা। আলোচনা সভা শেষে বিকেলে কুষ্টিয়া শিল্পকলা  একাডেমি, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে রবীন্দ্র সংগীত, কবিতাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠারেন  আয়োজন করা হয়েছে । দুদিন ব্যাপী উৎসবে দেশ ও দেশের বাইরের প্রায়

৫৯ টি রবীন্দ্র সংগীতের দল সংগীত, নাটকসহ বিভিন্ন আয়োজন পরিবেশন করবে বলে জানা গেছে। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে কুঠিবাড়ীর আঙ্গিনায় বৃষ্টি ভেজা পরিবেশে নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষের ভিড় পড়েছে। তবে দুটি উপজেলায় নির্বাচন থাকায় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম।

উল্লেখ্য, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলে জমিদারি পান। কবিগুরু ১৯০১ সাল পর্যন্ত শিলাইদহে জমিদারি পরিচালনা করেন। পদ্মা পাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি একে একে রচনা করেন সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালীসহ বিখ্যাত সবগ্রš’। কুঠিবাড়ির এ কুঠিরে বসেই করেন গীতাঞ্জলি কাব্যের অনুবাদ। যে কাব্য দিয়েই ১৯১৩ সালে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন ভানুসিংহ ছদ্ম নামের রবীন্দ্রনাথ। অসংখ্য গান, কবিতা, চিঠি, চিত্রকর্ম ও সাহিত্য শিলাইদহকে করেছে রবীন্দ্রসাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।