• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:৩৫

মায়ের খেয়াল আছে তো

পথরেখা অনলাইন : জীবনভর মা-ই আমাদের খেয়াল রেখে যান, তার খেয়াল রাখার সময় আমাদের হয় কি? আমাদের জীবনে আমরা মোট যতটুকু যত্ন আর ভালোবাসা পাই, তার অধিকাংশই পাই আমাদের মায়ের কাছ থেকে। নিজের ভেতরে একটু একটু করে বড় করা, এরপর পৃথিবীর আলো দেখানো আর পৃথিবীর এবড়োথেবড়ো পথে চলতে শেখানো। মা পাশে না থাকলে তা কী করে সম্ভব! তাই তো সবচেয়েও হতভাগা সে-ই, যার মা নেই।

খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন এমন কারও সঙ্গে কথা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন, পুরো জীবনটা তার কতটা কষ্টে কেটেছে। একজন মাকে হারানোর ক্ষতি এক পৃথিবীর সমান। কোনোকিছুতেই সেই ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। শুধু ছোটবেলায়ই নয়, বড়বেলায় এসেও মাকে হারালে এলোমেলো হয়ে যায় অনেকের পৃথিবী। তাই যাদের মা বেঁচে আছেন তারা নিজেকে অনেক বেশিই সৌভাগ্যবান ভাবতে পারেন। মায়ের চেয়ে বড় সম্পদও যে আর নেই পৃথিবীতে!

আমাদের ব্যস্ত জীবনে হাজারো অগুরুত্বপূর্ণ জিনিসও অনেক সময় জায়গা করে নেয়। কিন্তু দূরে থাকা মাকে নিয়ে ভাবার মতো সময় অনেকেরই থাকে না। শুনতে রূঢ় শোনালেও বর্তমানে এটি অনেকটাই সত্যি। তাই বলে বলছি না যে মায়ের কথা কোনো সন্তানই ভাবে না। বরং মাকে ভালোবাসার গল্প কিংবা উদাহরণও রয়েছে ভুড়ি ভুড়ি। কিন্তু তেমন হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হলো মায়ের সঙ্গে কঠোর আচরণ, নিয়মিত তার খোঁজ না নেয়া, তার সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করা। আমরা একটু সচেতন হলেই এই ভুল থেকে দূরে থাকতে পারি।

মা দিবস তো কেবল একটি দিন। বছরে মাত্র একটি দিন ফুল, চিঠি, চকোলেট কিংবা কেক পাঠিয়ে মাকে শুভকামনা জানানোর মতো কঠিন বাস্তবতা আমাদের জীবনে এখনও আসেনি। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই চাইলে মাকে নিয়ে যখন-তখন ঘুরে আসতে পারি তার পছন্দের জায়গা থেকে, মাকে রেঁধে খাওয়াতে পারি, মায়ের যত্ন নিতে পারি, তাই না? কিন্তু মায়েরও যে যত্ন নেয়া প্রয়োজন, সেই খেয়াল ক’জনে রাখেন? মায়েরও হতে পারে মন খারাপ। তার মন ভালো করার কথা কেউ কি আমরা ভাবি?

খোঁজ নিলে দেখা যাবে, আমাদের বেশিরভাগের মা-ই জীবনে কখনো সমুদ্র দেখতে যাননি। আমাদের আলোকিত করতে গিয়ে নিজের জীবনের অনেক শখ আর আহলাদ একে একে বিসর্জন দিয়ে এসেছেন। যদিও প্রতিদানের প্রত্যাশা তাদের থাকে না, আমাদের ভালো থাকাটাই কেবল তাদের স্বপ্ন। তবু কিছু ভালোবাসা কি আমরা শোধ করার চেষ্টা করতে পারি না? জীবন বড় স্বল্প সময়। মাকে ভালোবাসার মতো অমিয় সুযোগ আমরা কি হেলায়ই না হারিয়ে ফেলি! তারপর একদিন হারিয়ে ফেলি আমাদের মাকে। হারিয়ে যায় পৃথিবীতে আমাদের ভালোবাসার সবচেয়ে বড় ভাণ্ডারও। তাই হারিয়ে ফেলার আগেই যেন আমরা বুঝতে পারে, আমাদের জীবনজুড়ে মায়ের কতটা মূল্য!
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।