পথরেখা অনলাইন : দক্ষিণ কোরিয়া ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে চায়।আজ রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক মন্ত্রীর অফিস কক্ষে সাক্ষাতকালে এক বৈঠকে এ কথা জানান।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরো বৃদ্ধির জন্য আমরা কোরিয়ান কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করছি।’
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বিশেষত বস্ত্র ও পোশাক খাতে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বস্ত্র ও পাট খাতে বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাই।’
জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র খাতে বাংলাদেশীদের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোরিয়ার আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদানের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আমরা বস্ত্র ও পাট খাতে বাজারের বৈচিত্র্য বাড়ানো, পণ্য উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ইত্যাদিতে জোর দিচ্ছি’।
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তিনটি বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, কাঁচামাল আমদানি করতে প্রচুর ট্যারিফ দিতে হয়। তার মধ্যে ৫টি পণ্য বস্ত্র ও পোশাক খাতের সাথে সম্পর্কিত। এগুলোর ট্যারিফ কমাতে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত ভিসা জনিত সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশে যারা কাজ করছে তাদের খুব স্বল্প সময়ের জন্য ভিসা দেয়া হয়। তিন মাস পর পর মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে হয়। এ সমস্যা উত্তরণে মন্ত্রীর সহযোগিতা দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া, কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের ক্ষত্রে দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান জেডিপিসি’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসের কনসাল জেয়ং কি কিম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, মন্ত্রী, এমপি’র স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বিষয়ে কিছুটা ভুল ধারণা কাজ করছে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো নেতার সন্তান বা কোনো স্বজনের যদি রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্থান হয় এবং তার যোগ্যতা ও অবস্থান সৃষ্টি করতে পারে তাহলে তো সে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে কোনো অবদান নেই বা অবস্থান ছিলো না, উপস্থিতি ছিলো না, হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসা লোকদের সম্পর্কে সতর্ক বার্তা ছিলো।
পথরেখা/এআর