পথরেখা অনলাইন : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও যৌতুক নিরসনে সরকার কাজ করছে। ‘নারী-পুরুষ সমতা রুখতে পারে সহিংসতা’ স্লোগান নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং যৌতুক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির এক সভায় তিনি বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৪ টি ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৬৭টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল, জাতীয় পর্যায়ে একটি ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাব, বিভাগীয় পর্যায়ে ৮টি ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাব, টোল ফ্রি ১০৯ হেল্পলাইন, ন্যাশনাল ও রিজনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার, ৬টি সেল্টার হোম স্থাপন এবং জয় মোবাইল অ্যাপস তৈরি করেছি।’
সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ, সারাদেশে যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার নিমিত্তে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া নারী পাচার, যৌন হয়রানি ও অন্য সব ধরনের শোষণ বঞ্চনা অবসানে এ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কথাও জানান তিনি। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে, এমসিবিপি কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ১৫ লাখ ৪ হাজার মা’কে জনপ্রতি প্রতিমাসে ৮০০ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কিশোর কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রান্তিক কিশোর কিশোরীদের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বর্তমানে ৪৮৮৩ টি ক্লাব এবং ১৫০০টি হাব গঠন করা হয়েছে। এতদসংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনায় মোট ৪০৩টি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে ৩৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, খাদিজাতুল আনোয়ার, সদস্য-২৭৯,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন।
পথরেখা/এআর