• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৭

ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে দেশকে বিপথে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ২৫ মে, ২০২৪       
  • ২৭
  •       
  • ২৬-০৫-২০২৪, ০১:৪৬:১৩

পথরেখা অনলাইন : ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে বিপথে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার ব্যাখ্যাও বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল।শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা-২০২৪ উপলক্ষ্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরু ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’১৫ আগস্ট হত্যার পর প্রথম যে ঘোষণা দেয়, তখন বাংলাদেশকে একটি ধর্মীয় রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। ঘোষণাও দিয়েছিল খুনিরা, কিন্তু সেটি টেকেনি। বাংলাদেশের মানুষ সেটা নেয়নি। কারণ বাংলাদেশকে জাতির পিতা অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আর আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে।তিনি বলেন, দেখেছি কীভাবে একটি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে বিপথে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।

বিএনপি  সরকার নববর্ষ ও পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন শতাব্দীতে আমরা যখন পদার্পণ করবো বলে একটি প্রোগ্রাম নিয়ে জাতীয় কমিটি করেছিলাম, খালেদা জিয়া তখন ক্ষমতায়, আমাদের অনুষ্ঠান করতে দেবে না। বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা না কি হিন্দুয়ানি? অদ্ভুত অদ্ভুত কথা শুনতে হতো। সেই অনুষ্ঠানে বাধা দিলো। কিন্তু দেশের মানুষ সেই বাধা মানলো না। দেশের মানুষ যেটা ন্যায়সঙ্গত হয়, সেটিই করে। একপ্রকার জোর করেই আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকলাম, তখন হাজার হাজার মানুষ। আমরা দিবসটি উদযাপন করলাম। এখন কিন্তু পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ আমরা পালন করি। এই উৎসব কিন্তু ধর্ম বর্ণ  সবাই মিলে পালন করি। আর প্রত্যেক ধর্মের উৎসবে সব ধর্মের মানুষ কিন্তু এই দেশে অংশ নেয়। পৃথিবীর আর কোনো রাষ্ট্রে এটি আছে বলে জানা নেই।

জাতির পিতা সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে যার যার ধর্ম সে পালন করবে। এটাই ধর্ম নিরপেক্ষতা। ধর্ম নিরপেক্ষতার ব্যাখ্যাও বিকৃত করে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। কেউ কেউ এটার অপব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। এটা আমরা স্পষ্ট করেছি।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশটাকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। এখানে ধর্ম-বর্ণ  বলে কিছু নেই। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চাই।

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলে বিশ্বে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি বলেও মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, অনেকেই চেষ্টা করে দেশকে ভিন্ন পথে নিতে। কিন্তু সেটি পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ খুব উদার এবং সবাই একসাথে চলতে পছন্দ করি।  প্রত্যেক ধর্মেরই মূল কথা মানবকল্যাণ। আমাদেরও সেই একই কথা। ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগ সরকার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলেও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। সেই লক্ষ্যে আমরা ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। সবাই তার মৌলিক অধিকার পাবে।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।