• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৩

একাত্তরে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগ জানবে বিশ্ব : প্রধান বিচারপতি

পথরেখা অনলাইন : প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসী বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভারসিটি কলেজ লন্ডন এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিস- এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'ইন্টারন্যাশনাল রিকগনিশন অব দ্যা ১৯৭১ বাংলাদেশ জেনোসাইড' (International Recognition of the 1971 Bangladesh Genocide) শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে সোমবার বিকালে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। অনুষ্টানে ঢাবির শিক্ষকবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'অদূর ভবিষ্যতে ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসী স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে। যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনমত সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি করবে।'

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ সেই উদ্যোগেরই ফসল। কিন্তু একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করার পূর্বেই ঘাতকদের বুলেটে তাকে জীবন উৎসর্গ করতে হলো।

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'দুঃখের বিষয় পরবর্তী বছরগুলোতে অগনতান্ত্রিক সরকারগুলো বিভিন্নভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।'

প্রধান বিচারপতি বলেন, কোন জেনোসাইড বা কোন গণহত্যা বা যে কোন যুদ্ধাপরাধ কখনো তামাদি হয় না। যত দেরিই হোক না কেন একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানানোর এখনই উপযুক্ত সময়।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।