পথরেখা অনলাইন : প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসী বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভারসিটি কলেজ লন্ডন এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিস- এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'ইন্টারন্যাশনাল রিকগনিশন অব দ্যা ১৯৭১ বাংলাদেশ জেনোসাইড' (International Recognition of the 1971 Bangladesh Genocide) শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে সোমবার বিকালে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। অনুষ্টানে ঢাবির শিক্ষকবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'অদূর ভবিষ্যতে ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসী স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে। যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনমত সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি করবে।'
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ সেই উদ্যোগেরই ফসল। কিন্তু একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করার পূর্বেই ঘাতকদের বুলেটে তাকে জীবন উৎসর্গ করতে হলো।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'দুঃখের বিষয় পরবর্তী বছরগুলোতে অগনতান্ত্রিক সরকারগুলো বিভিন্নভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।'
প্রধান বিচারপতি বলেন, কোন জেনোসাইড বা কোন গণহত্যা বা যে কোন যুদ্ধাপরাধ কখনো তামাদি হয় না। যত দেরিই হোক না কেন একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানানোর এখনই উপযুক্ত সময়।
পথরেখা/এআর