পথরেখা অনলাইন : আগামীকাল ৫ জুন ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা’শুরু। এ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবছর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ’ খুবই যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।”প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক বনায়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, সমৃদ্ধ বনের সাথে সমৃদ্ধ অর্থনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসে বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বৃক্ষ অতিরিক্ত তাপমাত্রা শোষণ করে পরিবেশকে শীতল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের অপরিণামদর্শী ও বেপরোয়া কর্মকা-ের বিরূপ প্রভাবে দিন দিন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সুন্দরবনের মোট কার্বন মজুদের পরিমাণ ছিল ১০৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন; যা ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত হয়। বিগত ১৫ বছরে বৃক্ষরোপণ ও বনায়নকে আমরা বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এর ফলে ২০১৪ সালে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদন ২২ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়। বর্তমান এ হার প্রায় ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আমি আশা করি ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘এ বছরও জাতীয় পর্যায়সহ সারাদেশে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে এবং তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমি আশা করি, জনগণ মেলা থেকে উন্নত প্রজাতির চারা সংগ্রহ এবং এ বিষয়ে যথার্থ কারিগরি জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন।’
প্রত্যেকে অন্ততঃ একটি করে গাছ লাগানোর আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, আমরা প্রত্যেকে অন্ততঃ একটি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে তার যতœ নেই এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলি নির্মল, সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ আবাসভূমি।’
তিনি বলেন, ‘যাঁরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন ২০২৩ ও ২০২৪’; বৃক্ষরোপণ, বৃক্ষ সংরক্ষণ, গবেষণা, উদ্ভাবন, চারা উৎপাদন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২২ ও ২০২৩’ পেয়েছেন এবং যে সকল উপকারভোগী সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ পেয়েছেন তাঁদেরকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৪’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
পথরেখা/রাসু