পথরেখা অনলাইন : পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’কে ঘিরে রাজধানীর এক হাটের কোরবানির পশু জোরপূর্বক অন্য হাটে নামিয়ে নিলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ঈদ-উল-আযহা, ২০২৪ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার পশুর হাট কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ‘পশু কোন হাটে যাবে, সেটা ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই ট্রাকের সামনে ব্যানারে লিখে রাখবেন। প্রয়োজনে ব্যানারে হাটের ইজারাদারের মোবাইল নম্বরও লিখে রাখবেন। এমন কোন ঘটনা ঘটলে হাইওয়ে পুলিশ এবং ঢাকা মহানগর এলাকায় ডিএমপি কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেখানে পশুর হাটের স্থান নয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনভাবেই সেখানে হাট বসতে দেওয়া হবে না। নদীপথে নৌকা বা ট্রলারে গরু আসলে সেগুলো নৌ পুলিশ দেখভাল করবে আর এক্ষেত্রে ডিএমপি নৌ পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।কমিশনার বলেন, গরুর হাটে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় পুলিশ ও হাটের ইজারাদারগণ সমন্বয় করে কাজ করবেন। হাট পরিচালনা কমিটি হাটে স্থানীয় পুলিশের নাম্বার প্রদর্শন করে ব্যানার টানাবেন। প্রয়োজনে সংশি¬ষ্ট সকলকে নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলবেন এবং সেখানে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা থাকবেন।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, রাস্তায় যাতে যান চলাচলে অসুবিধা না হয়, সেজন্য ইজারাদারগণ ব্যারিকেড দিয়ে হাটের সীমানা নির্ধারণ করে দিবেন। হাটে জাল নোট সনাক্তকরণে পুলিশ সহায়তা করবে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। হাট সংশি¬ষ্ট ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করবেন। ইজারাদারগণ মাইকিং করে সবাইকে সচেতন করবেন।
সভায় হাটসমূহের নিরাপত্তা, মানি এস্কর্ট ও জালনোট সনাক্তকরণ, সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ডিপিডিসি, ডেসকো ও ডিএনসিসির প্রতিনিধিগণ, ঢাকা মহানগরের সকল গরুর হাটের ইজারাদার ও গণমাধ্যমকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পথরেখা/এআর