• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:১৭

মানুষের বাসযোগ্য নতুন গ্রহ আবিষ্কার

পথরেখা অনলাইন : পৃথিবীর জনসংখ্যা যতই বাড়ুক, চিন্তা নেই। পৃথিবীর বাইরেও মানুষের থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা খুঁজে পেয়ে গেছে নাসা। চাঁদের মতো এই জায়গা নিয়ে পরিশ্রম করতে হবে না। জায়গাটি আগে থেকেই নাকি মানব বসবাসের যোগ্য। আর সেই জায়গাটিই খুঁজে পেয়েছে নাসার টেলিস্কোপ! এটি ব্যবহার করেই নাকি পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডলসহ একটি এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জানা গেছে, এই এক্সোপ্ল্যানেটটি পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা চওড়া এবং এর তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই এক্সোপ্ল্যানেটটি মাত্র কয়েক দিনেই তার নক্ষত্রকে একবার প্রদক্ষিণ করে।

জনবসতি গড়ে তোলার জন্য, এই এক্সোপ্ল্যানেট নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা আশা করছেন, এই গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে। সম্ভাব্য এই নতুন গ্রহটি গ্লিস ১২বি (Gliese 12b) নামে পরিচিত, যা বিজ্ঞানীদের ভাষায় এক্সোপ্ল্যানেট। গ্লিস ১২বি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০ আলোকবর্ষ দূরে মীন রাশিতে অবস্থিত একটি ছোট এবং শীতল লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।

গ্লিস ১২বি এক্সোপ্ল্যানেটটি আবিষ্কার করেছে নাসার ট্রান্সিটিং এক্সপ্লোনেট সার্ভে স্যাটেলাইট (Transiting Exoplanet Survey Satellite/TESS)।বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই এক্সোপ্ল্যানেটের প্রস্থ পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১.১ গুণ বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই প্রস্থই এক্সোপ্ল্যানেটটিকে আমাদের গ্রহের পাশাপাশি শুক্রের মতো করে তোলে, যাকে পৃথিবীর যমজ বোন বলা হয়। গ্লিস ১২বি তার নক্ষত্রকে মাত্র ১২.৮ দিনেই একবার প্ৰদক্ষিণ করে। যেহেতু এই লাল বামন গ্লিস ১২বি সূর্যের আকারের প্রায় এক চতুর্থাংশ, তাই এটি পৃথিবীর নক্ষত্রের চেয়েও অনেক বেশি শীতল।

অর্থাৎ যদিও গ্লিস ১২বি তার লাল বামন নক্ষত্র থেকে সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে দূরত্বের মাত্র ৭ শতাংশ সমান দূরত্বে রয়েছে, তাই এটি এখনও বাসযোগ্য অঞ্চল। এই এলাকাটি 'গোল্ডিলক্স জোন' নামেও পরিচিত।

গ্লিস ১২বি সূর্য থেকে শুক্রের প্রাপ্ত বিকিরণের প্রায় ৮৫ শতাংশ গ্রহণ করে, কিন্তু শুক্রের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৮৬৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এর তুলনায় এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বলে মনে করা হয়।

যদিও পৃথিবী এবং শুক্র উভয়ই সূর্যের বাসযোগ্য অঞ্চলে রয়েছে, একটিতে জীবন সম্ভব এবং একটি অনুকূল পরিবেশ রয়েছে, অন্যটি একটি অবাসযোগ্য আগুনে পরিবেশ, যেখানে তাপমাত্রা এত গরম যে সীসাও গলে যেতে পারে।

অবশ্য গ্লিস ১২বি আবিষ্কারের পেছনে থাকা বিজ্ঞানী দল এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি যে, এই এক্সোপ্ল্যানেটে সত্যিই বায়ুমণ্ডল আছে কিনা। তাই পৃথিবীর মতো এটিও বাসযোগ্য হতে পারে কিনা- তা স্পষ্ট নয়। তবে গবেষকরা আশাবাদী।
তথ্যসূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।