পথরেখা অনলাইন : এলডিসি উত্তোরণ বিষয়ক এক কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নীতিনির্ধারকগণ বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে প্রণীতব্য নীতি ও কৌশল দেশের আসন্ন নবম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়ানোর লক্ষ্যে মসৃণ উত্তরণ সংক্রান্ত কৌশলটিতে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত রূপান্তরের উপর পুরুত্ব আরোপ করা উচিত। রোববার রাজধানীতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)ও জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগের (ইউএনডেসা) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘মসৃন উত্তোরণ কৌশল’ শীর্ষক কারিগরি পর্যায়ের কর্মশালায় বক্তারা একথা বলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি পুয়েন লুইস। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।
উল্লেখ্য, ২০১৮ ও ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের সকল মানদন্ড পূরণে সক্ষম হয়েছে। ফলে,পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন সময় শেষে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের অলিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। জাতিসংঘের নিয়মানুসারে উত্তরণের প্রস্তুতকালীন সময়ে বাংলাদেশকে একটি মসৃন উত্তোরণ কৌশল (এস টি এস) প্রণয়ন করতে হবে। সম্প্রতি ইউ এন ডেসার সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার মসৃন উত্তোরণ কৌশল খসড়া প্রস্তুতকরণের কাজ শুরু করেছে। এমতাবস্থায় খসড়া
প্রস্তুতকরণের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে প্রয়োজনীয় মতামত বিনিময়ের লক্ষ্যে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।কর্মশালায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন সঠিক নীতি, পদ্ধতি ও কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করতে পারবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে এই দেশের কর্মঠ জনগণ, গতিশীল ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনবান্ধব সরকার।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান তাঁর বক্তৃতায় বলেন, মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়ানোর লক্ষ্যে ‘স্মুুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি’ শীর্ষক নীতি কৌশলটিতে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত রূপান্তরের উপর জোর দেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন যে ‘মসৃন উত্তোরণ কৌশল’ শীর্ষক কৌশলপত্রটি দেশের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।
পথরেখা/এআর