• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২০

লাল মাংস খেতে বাধা নেই তবে পরিমিত

 পথরেখা অনলাইন : সাধারণত, গরু, খাসি, মহিষ, ভেড়ার মাংসকে লাল মাংস বা রেড মিট বলা হয়ে থাকে। রেড মিট বা লাল মাংসের মধ্যে মায়োগ্লোবিন নামক উপাদান বেশি থাকার কারণে মাংস লাল হয়।

আর মানুষের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মাংস থেকেই পূরণ হয়। এছাড়া আয়রন ও খনিজে ভরপুর লাল মাংস অর্থাৎ গরু বা খাসির মাংস  শরীরের বেড়ে ওঠায় ও কর্মক্ষম থাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই মাংসে উচ্চ মাত্রার চর্বি ও কোলেস্টেরল থাকায় খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধান থাকা ভালো। বিশেষ করে রোগীদের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সঙ্গে  হয়ে রেড মিট বা  লাল মাংস খাওয়া প্রয়োজন।

রেড মিট খাওয়ার ক্ষেত্রে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বীপন চৌধুরীর মতে, যদি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে সপ্তাহে একদিন বা দুদিন লাল মাংস খাওয়া হয় তাহলে তেমন ঝুঁকির ভয় নেই।

কিন্তু যদি দিনে ৯০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই স্বাস্থ্য-ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি কোলন ক্যান্সারও হতে পারে। তাই যদি রোজই লাল মাংস খেতে হয়, সেক্ষেত্রে কোনোভাবেই যেন ৫০ গ্রামের বেশি খাওয়া না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

এছাড়া তিনি রেড মিট বা লাল মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো জেনে নেওয়া যাক:  

যাদের পাকস্থলীতে আলসার রয়েছে তারা লাল মাংস খেলে তাদের রোগ বাড়িয়ে দেয়। তাদের উচিত হবে প্রোটিনের বিকল্প উৎসের দিকেই অধিক মনোযোগী হওয়া।

কিডনি ফেইলিউরের রোগীরা প্রতিদিন ৩০ গ্রাম প্রোটিন খেতে পারবেন। আর যারা ডায়ালাইসিস করেন তারা পারবেন ৭০ গ্রাম মাংস খেতে।  সাধারণত কিডনি রোগীরা লাল মাংস খাবেন কি না, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

বাতের রোগীরা লাল মাংস খাবেন না। কারণ লাল মাংস রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।

যারা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বা স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন তাদের লাল মাংস এড়িয়ে যাওয়া ভালো। তারা প্রোটিনের জন্য মাছ-মুরগির মাংস খেতে পারেন। আর লিভারের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী লাল মাংস খাবেন।

লাল মাংস খাওয়ার সঙ্গে শাকসবজি ও সালাদ বেশি পরিমাণে খেতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ডাল, শস্য ও মাশরুম খাওয়া ভালো।

রোজ মাংস খাওয়া কমাতে সবজি রান্না প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা যেতে পারে। সবজি রান্নায় পনিরের ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও যোগ করা হবে খাদ্যতালিকায়।

দেখা যায় বিভিন্ন স্ন্যাকসে লাল মাংসের উপস্থিতি হরহামেশাই থাকে, সেক্ষেত্রে এসব খাবারে অর্থাৎ বার্গার, স্যান্ডউইচ বা সমুচায় লাল মাংসের পরিবর্তে টুনামাছ ও মুরগির মাংস ব্যবহার করা যেতে পারে।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।