পথরেখা অনলাইন : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সারাদেশে খাদ্য গুদামগুলো ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। ফলে খুব সহজেই কোন গুদামে কতটুকু পণ্য স্টক করা আছে এবং কতটুকু বের করা হয়েছে তা জানা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো প্রাঙ্গণে সরকারি প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। আজ এখানে এক তথ্যবিবরণীতে একথা জানানো হয়।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে ২‘শ খাদ্য গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খাদ্য গুদামগুলো নির্মাণ হলে সংরক্ষণ সক্ষমতা আরো বাড়বে। তিনি বলেন, দুই থেকে তিনবারের বেশি চাল ছাটাই করা যাবে না। প্রাকৃতিক রং ও ঘ্রাণের চাল গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে ঈদের পর মিল মালিকদের সাথে আলোচনা করে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগে চালে পুষ্টি মেশাতে হতো না। প্রাকৃতিকভাবেই চালে পুষ্টি থাকতো। চাল চকচকে করতে বর্তমানে চার থেকে পাঁচবার ছাটাই করে পুষ্টি ফেলে দেয়ায় চালে কর্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। সেই চালে আবার পুষ্টি মিশিয়ে বিতরণ করা অপচয়। এ অপচয় বন্ধ করতে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সারা বছর দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ চাল বিতরণ করা হয় তার এক তৃতীয়াংশ নারায়ণগঞ্জ প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি হতে যোগান দেয়া সম্ভব হবে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন ছাড়াও খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, র্যাব ১১ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ আমির খসরু উপস্থিত ছিলেন।
কার্নেল ফ্যাক্টরিতে প্রতি ঘন্টায় ৪‘শ কেজি চাল উৎপাদন সম্ভব হবে। কার্নেলে মানবদেহের অপরিহার্য ছয়টি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন (ফেরিকপাইরোফসফেট) এবং জিংক ইত্যাদি বিতরণকৃত চালে ফর্টিফাইড করা হবে। ফলে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তার বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভালোমানের ও পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
পথরেখা/এআর