পথরেখা অনলাইন : রাত পোহালেই সোমবার ঈদ। কোরবানির আগে নামাজে সামিল হবেন মুসল্লিরা। আর প্রধান ঈদ জামাতটি হবে জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায়। এতে সামিল হবেন রাষ্ট্রপতিসহ সর্বস্তরের মানুষ। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
তবে, প্রতিকূল আবহাওয়ায় জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে এ জামাত হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।
এ ছাড়া বায়তুল মোকাররমে এবারও জামাত হবে পাঁচটি। সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টা ও পৌনে ১১টায় হবে এসব জামাত।
সকাল ৮টায় ঈদুল আজহার জামাত হবে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এতে সামিল হবেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় হবে দুটি জামাত। এ ছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৭টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের খেলার মাঠে জামাত হবে সকাল ৮টায়। বুয়েটের খেলার মাঠের জামাত সকাল ৭টায়।
গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ ঈদগাহে তিনটি জামাত হবে সকাল ৬টা, সকাল সাড়ে ৭টা ও ৯টায়।
ধানমন্ডির ৩ নম্বর রোডের এনায়েত মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ৭ নম্বর রোডের বাইতুল আমান মসজিদে সকাল ৮টায়, ১২/এ রোডের তাকওয়া মসজিদে সকাল ৮টায়, সোবহানবাগ মসজিদে সকাল ৮টায় হবে ঈদ জামাত। এ ছাড়া মিরপুর ১২-এর হারুণ মোল্লাহ ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠে ঈদের নামাজ সকাল ৭টায়।
এদিকে, কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এবার অনুষ্ঠিত হবে ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাত। প্রতি বছর এ ঈদগাহ মাঠে আশপাশের জেলার মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। ঈদের দিন সকাল ৯টায় একটি মাত্র জামাতের জন্য এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এ ঈদগাহে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। ঈদ জামাতকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঈদুল আজহায় দেশের সবচেয়ে বড় জামাতের আয়োজন করতে প্রস্তুত হয়েছে দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ মাঠ। এই ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। জামাতে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পথরেখা/এআর