• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২১

মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে: কাদের

  • জাতীয়       
  • ১৯ জুন, ২০২৪       
  • ২১
  •       
  • ২০-০৬-২০২৪, ০২:১৩:৫৫

পথরেখা অনলাইন :  ইদানিং বেপরোয়া ড্রাইভিং, মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে সারাদেশে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। ইদানিং যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে, তার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই বেশি হচ্ছে। দুর্ঘটনার চিত্র দেখলে দেখা যাবে, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর আছে ইজিবাইক, তারাও বেপরোয়া গতিতে এটি চালাচ্ছেন। সড়ক থেকে এ বাহনগুলোকে বাদ দেওয়ার উপায় নেই। এজন্য সচিবকে দ্রুত নীতিমালা করার জন্য বলা হয়েছে।’

সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে লাখ লাখ তিন চাকার যান ও মোটরসাইকেলের জন্য শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, সেজন্য নীতিমালাটা খুব জরুরি। মানুষের জীবন আগে, জীবিকা পরে। এক্ষেত্রে জীবিকাকে রক্ষা করতে গিয়ে জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতিতে যারা করেন, তাদের এতে সায় আছে। ইজিবাইক হাইওয়েতে চলে, এটিকে অনেকে সমর্থন করেন অথবা পেছন থেকে মদদ দেন। ঢাকায় যে নিয়ম চালু করা হয়েছে, তাতে ৯৮ শতাংশ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী তাদের দুজনেরই হেলমেট থাকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে ঈদযাত্রা অনেকটা ভালো হয়েছে। কিন্তু ফিরতি পথের বিষয়টি এখনও রয়েছে। এদিকে অনেকের নজর কম থাকে, তাই দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক সময়। তাই ফিরতি পথটাও এখন দেখতে হবে।

‘সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিরোধীদলের একটা ভাষা আছে সরকারি দলের সিদ্ধান্তকে তারা নতজানু আখ্যায়িত করে। কিন্তু কীভাবে নতজানু, সেটা একটু ব্যাখ্যা করে দিক না।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে যে গুলিটা এসেছে, সেটা মিয়ানমার সরকার করেনি। এটা আরকান আর্মি নামে যে বিদ্রোহীরা আছে, তাদের গুলি। যেকোনো উস্কানির মুখে বাংলাদেশ যুদ্ধে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনায় সমাধানে বিশ্বাসী। সেখানে যে জাহাজের কথা বলা হয়, সে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার উস্কানি দিলে আমরা তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করবো। একটা সমাধান বের করবো। যুদ্ধে জড়াব না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি যুদ্ধে জড়াতে চান, তাহলে উস্কানির ফাঁদে আমরা পড়তে পারি? আমরা সরকারে আছি, আমাদের দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে। সার্বভৌমত্ব চলে গেলে আমাদেরই ব্যথা লাগবে বেশি। কারণ, এ জাতির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার লড়াইয়ে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম তখন (মুক্তিযুদ্ধের সময়) কী করেছেন, কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন- তা জানি না। এসব কথা বলে লাভ নেই। সার্বভৌমত্ব ঠিক আছে। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে, আলাপ-আলোচনার সময় পেরিয়ে যদি যায়, যদি সত্যিই তারা আক্রমণে আসে- তখন কী আমরা বসে থাকব? তখন আমাদেরও পাল্টা জবাব দিতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও কোনো আক্রমণ দেখিনি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ৫৪টি গোষ্ঠী আছে। ওদের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা। তাদের নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহীরা আছে। তাদের  থেকেই এসব ঘটনা ঘটছে। সেটার জন্য কেন মিয়ানমার সরকারকে দায় দেব? যতদিন সম্ভব শেষ পর্যন্ত আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করবো।

‘মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে বাড়ার কারণে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি’- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব- কোরবানির ঈদে গত বছরের থেকে এ বছর ৩ লাখ গরু বেশি কোরবানি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ছোটখাটো যানজট হয়েছে। সেটা বেশি সময়ের জন্য নয়। তারপরও এবারের ঈদ যাত্রা মানুষ মধ্যে উল্লাস কাজ করেছে। অনেকেই ঈদ যাত্রায় সামিল হয়েছেন।

তিনি বলেন, এবার পদ্মা সেতুতে একদিনে টোল আদায় হয়েছে ৫ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক দিনে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি টাকা। তাহলে অসুবিধা কোথায়? কোনো হিসেবেই তো ফখরুল সাহেবের বক্তব্য মিলছে না। বাস্তবে যা- তার সাথে ফখরুলের বক্তব্য মিলছে না। এটা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা, সমালোচনার জন্য সমালোচনা।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।