• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:৩৯

পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু

  • জাতীয়       
  • ২২ জুন, ২০২৪       
  • ৩১
  •       
  • ২৩-০৬-২০২৪, ০৩:০১:৪৮

পথরেখা অনলাইন : একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদাররা আগ্রাসন শুরুর আগ মুহূর্তে বন্দি করে অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশের শাসনভার পেয়ে মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু দেখিয়ে দেন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে নিয়ে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো আজও দেশের অগ্রগতিতে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। অতঃপর রক্তিম বিজয়। বাংলার আকাশে পতপত করছে লাল সবুজ পতাকা। কিন্তু বিজয়ের মহান স্থপতি তখনও বন্দি পাকিস্তানের কারাগারে। আপামর মানুষের অধীর অপেক্ষা আর তুমুল চাওয়া প্রিয় নেতার ফেরার।

অবশেষে দীর্ঘ নয় মাস কারাভোগের পর একবুক স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭২ সালে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে।

সকাল ১০টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কথা বলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরের দিন ৯ জানুয়ারি ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে যাত্রা করেন দেশের পথে। ১০ জানুয়ারি পা রাখেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে।

বাঙালিও নিরাশ করলেন না এই অবিসংবাদিত নেতাকে। বরণ করে নিল সাধ্যমতো। বঙ্গবন্ধু সেদিন দেশবাসীকে জানিয়েছিলেন অকৃত্রিম ভালোবাসা-কৃতজ্ঞতা।

‘যে মাটিকে আমি এত ভালোবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালোবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালোবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারব কি না। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’ বললেন বঙ্গবন্ধু।
 
১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করার। ১২ জানুয়ারি দেশের রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু।

স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পান বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী। এছাড়া, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আরও ১১ জন। সেই দিনই বুঝিয়ে দেয়া হয় কার্যভার।

১৯৭২ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের কৃষি জমির খাজনা মওকুফের সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে দেশের জাতীয় সংগীত এবং রণসংগীত নির্ধারণ করা হয়।
 
এর পর শুরু হয় দেশ গঠন। কিন্তু মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে আসে দুর্ভিক্ষ। তবে শেখ মুজিব বিদেশ থেকে পাওয়া সহায়তার উপযুক্ত ব্যবহার করেন। আর তাতেই ঘুরে দাঁড়ায় পুরো দেশ।

এছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ছিল শেখ মুজিবের। অস্থায়ী শাসনতন্ত্র আদেশ জারি, আদমজী জুট মিল উদ্বোধন, আমদানিনীতি ঘোষণা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন, গণপরিষদ আদেশ জারিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেন।
 
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫- এ সময়ে বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে নিয়ে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। অনেক বিশেষজ্ঞের মত, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পদক্ষেপ আজও দেশের অগ্রগতির মূল অনুপ্রেরণা।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।