• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:৩০

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ২৪ জুন, ২০২৪       
  • ৫৫
  •       
  • ২৫-০৬-২০২৪, ০০:৪১:৫৯

পথরেখা অনলাইন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধানে চীনের সহায়তা চেয়েছেন।তিনি বলেন, ‘সমাধানের অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে খুবই চিন্তিত। কারণ এরই মধ্যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আসার ছয় বছর পার হয়ে গেছে।চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও আজ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এই সহায়তা কামনা করেন।

সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, এটা (রোহিঙ্গা সংকট) আমাদের জন্য খুবই হতাশা ও উদ্বেগজনক।প্রধানমন্ত্রী চীনের মন্ত্রীকে বলেন, ‘এটি রোহিঙ্গা সংকটের সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানের জন্যে আমার (প্রধানমন্ত্রীর) পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ বার্তা।’
তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) চীনের মন্ত্রীকে তাঁর নিজের পক্ষ থেকে এবং বাড়তি আগ্রহ নিয়ে কিছু করারও অনুরোধ করেন।’

লিউ জিয়ানচাও বলেন, চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে কীভাবে পরিস্থিতির উন্নতি করা যায় তা খুঁজে বের করতে মিয়ানমারের সাথে কাজ করছে।রোহিঙ্গা ইস্যুটি জটিল এবং সেখানে অভ্যন্তরীণভাবে তা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে চীনা মন্ত্রী বলেন, ‘এমনকী, মিয়ানমার সরকারেরও (এই ইস্যুটি সম্পর্কে) কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মতো অবস্থান নেই। সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে (সেখানে) গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি একটি জটিল ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।’তিনি আরো বলেন, চীন বুঝতে পেরেছে যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মানবিক উপায়ে সহায়তা করছে বলে তার দেশ অত্যন্ত প্রশংসা করে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত এই পররাষ্ট্রনীতির প্রতি তার দেশ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, তাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো দেশের গণমানুষের উন্নয়ন ও মানোন্নয়নের পাশাপাশি জনগনের খাদ্য নিরাপত্তা, ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।আগামী মাসে শেখ হাসিনার চীন সফর প্রসঙ্গে লিউ জিয়ানচাও বলেন, এতে দুই দেশের মধ্যে অসাধারণ বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে। ‘এই সফর আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।’

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে অভিভূত হয়ছেন উল্লেখ করে চীনের মন্ত্রী বলেন, তার দেশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে চীনের অর্থনৈতিক অবস্থাও মন্থর।তিনি উল্লেখ করেন যে গত বছর চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.২ শতাংশ এবং চলমান অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৫.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আরও কাজ করতে হবে এবং বাংলাদেশকেও করতে হবে।

লিউ জিয়ানচাও বলেন, উন্নয়নের এক পর্যায়ে চীনের অর্থনীতি মন্থর ছিল, কিন্তু প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান সে সময়ে সে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এতটা উন্নত ছিল না।তিনি বলেন, ‘আমরা একটু বেশিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা আমাদের পক্ষে কঠিন ছিল। কিন্তু সৌভাগ্যবশত বাংলাদেশ স্মার্ট প্রযুক্তি, এআই ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।’

পার্টি টু পার্টি (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও আওয়ামী লীগ) সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরো বলেন, এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ। চীনা মন্ত্রী অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও পার্টি টু পার্টি সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।এম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এসময় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।