• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:৩২

সোমবার চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ০৭ জুলাই, ২০২৪       
  • ৩০
  •       
  • ০৮-০৭-২০২৪, ০১:৫৬:০৪

পথরেখা অনলাইন : চার দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ বছর পর চীন যাচ্ছেন তিনি। এ সফরে দুদেশের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি এবং নিজেদের মুদ্রায় লেনদেনের সিদ্ধান্তসহ অন্তত ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। কূটনীতি বিশ্লেষকদের ধারণা, চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে আলোচনা হতে পারে এ অঞ্চলের রাজনীতি নিয়েও।

এই সফরে সমঝোতা হতে পারে চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বাণিজ্য সহায়তা, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, সুনীল অর্থনীতি ও একাধিক মৈত্রী সেতু নির্মাণ নিয়ে। অগ্রাধিকার পাবে বাণিজ্য ও অর্থনীতি।

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত, উন্নয়ন বন্ধু চীন: ওবায়দুল কাদেরবাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত, উন্নয়ন বন্ধু চীন: ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘টেলি-কমিউনিকেশন সেক্টর, আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন থেকে আমাদের সহযোগিতা আছে। পাশাপাশি নির্বাচনের সময় চীনের তরফ থেকে যে প্রকাশ্য সমর্থন ছিল তার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানাবেন।’

বাংলাদেশের লক্ষ্য, ৭০০ কোটি ডলার ঋণ আদায় করা। বাণিজ্য সহায়তায় ৫০০ কোটি ও বাজেট সহায়তায় ২০০ কোটি ডলার। এই অর্থ টাকা ও ইউয়ানে আদান-প্রদান করতে চায় ঢাকা।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বাজেট, রিজার্ভ নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য চীনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনাও হতে পারে।’

এছাড়া, মিয়ানমারে জাতিগত সংঘাত, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে ভূরাজনীতি দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠকে গুরুত্ব পাবে।

এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে আমরা তো এক চীননীতিতে বলিষ্ঠভাবে সমর্থন করি। এই মুহূর্তে যেহেতু চীন তাইওয়ান নিয়ে চাপে আছে সেহেতু তাঁরা চাইবে আমরা যেন তা ফের পুনর্ব্যক্ত করি, আমাদের সেটা করতে কোনো আপত্তি নেই। মিয়ানমারের ভেতরে কিন্তু বড় ধরনের একটা মানবিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ, ভারত, চীন—সকলেরই কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। কাজেই এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক আলোচনার একটা সুযোগ আছে।’

৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি তেমন বাড়েনি। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও যাতে সেই সুবিধা দেওয়া হয় তার ওপর জোর দেবে ঢাকা।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।